উলটপুরাণ! স্বামীর উপর অত্যাচারের অভিযোগে এক মহিলার বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ মধ্যপ্রদেশে
ইন্দোর, ৪ মার্চ : এ যেন একেবারে উলটপুরাণ!
নির্ভয়া কাণ্ড নিয়ে ফের একবার হইচইয়ের মাঝেই একেবারে বিপরীত ঘটনা ঘটল গো-বলয়ে। স্বামীর উপর অত্যাচারের অভিযোগে এক মহিলার বিরুদ্ধে পারিবারিক হিংসার মামলার নির্দেশ দিল জব্বলপুরের উচ্চ আদালত। ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেখানকার বাছড়া সম্প্রদায়ের পরিবারে এক মহিলা জোর করে নিজের স্বামীকে দেহব্যবসায় নামাতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে রাজি না হয়ে বেঁকে বসেন স্বামী, শুধু তাই নয়, স্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেন। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর যার পরিপ্রেক্ষিতে এই রায় শুনিয়েছে আদালত।
২০০৭ সালে ইন্দোরের বাসিন্দা নবনীত জোশীর বিবাহ হয় মমতা নামে এক মহিলার সঙ্গে। বিয়ের কিছুদিন পরই শুরু হয় মনোমালিন্য। অভিযোগ, বিয়ের পরপরই মমতা ও তাঁর ভাই গোপাল মিলে নবনীতকে দেহব্যবসায় নামার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পুলিশের পদস্থ আধিকারিক মমতার ভাই তাঁর উপর আরও চাপ বাড়ান বলে অভিযোগ পীড়িত ব্যক্তির। প্রস্তাবে কিছুতেই রাজু হননি নবনীত ফলে তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয়।
ঘটনায় মানসিকভাবে বিপর্যস্ত নবনীত এরপর পুরো ঘটনা নিজের মায়ের কাছে খোলসা করেন। ছেলেকে বাঁচাতে তখন আদালতের শরণাপন্ন হন নবনীতের মা পুজাবতীদেবী এবং পারিবারিক হিংসার মামলা দায়ের করেন।
সব শুনে তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত। সেখানেই দেখা যায় নবনীতের বক্তব্যের সত্যতা রয়েছে। বহুদিন ধরেই নবনীতের উপর অত্যাচার চালিয়েছে মমতা ও তাঁর ভাই গোপাল। ফলে সোমবার আদালত এই দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করে পুলিশকে মামলার নির্দেশ দিয়েছে।