For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

২৩ জন শিশুকে পণবন্দি করা অভিযুক্তর স্ত্রীকে পিটিয়ে খুন জনতার

Google Oneindia Bengali News

রুদ্ধশ্বাস পুলিশি অ্যাকশনের পর এক আসামীর কাছ থেকে মুক্ত করা গিয়েছে ২৩ জন শিশুকে। অভিযুক্ত নিহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে। উত্তরপ্রদেশের অতিরিক্ত সচিব অবনীশ কুমার অবস্তী নিশ্চিত করে জানিয়েছেন যে অভিযুক্ত সুভাষ বাথাম এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে এবং সব শিশুদের নিরাপদের সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে।

১০ ঘণ্টা পর অবশেষে উদ্ধার হল ২৩ জন পণবন্দি শিশু

উত্তরপ্রদেশের ফারুখাবাদে, বৃহস্পতিবার মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নাম করে গ্রামের ২৩ জন শিশুকে নিমন্ত্রণ করে সুভাষ বথাম। তার পর বন্দুকের ভয় দেখিয়ে তাদের ঘরের মধ্যে পণবন্দি করে রাখে সে। দুপুর তিনটের সময় শিশুরা তার বাড়িতে যায়। প্যারোলে মুক্তি পেয়ে জেলের বাইরে আসে খুনে অভিযোগে অভিযুক্ত সুভাষ।

অনেকেই মনে করছেন তারপর থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছিল সে। কিন্তু তার জেরে যে সে এমন কাণ্ড ঘটাবে, তা কেউ বুঝতে পারেনি। এক স্থানীয় বাসিন্দা বুঝতে পারেন যে শিশুদের পণবন্দি করে রাখা হয়েছে, তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে বাথামের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে সে ঘরের ভেতর থেকে গুলি চালাতে থাকে। এতে এক পুলিশ কর্মী ও স্থানীয় আহত হন। ঘটনাস্থলে এসপি এবং ডিএম আসেন।

সাত ঘণ্টা পর বাথাম একটি ছ’‌মাসের শিশুকন্যাকে মুক্তি দেয়, সেই সময় পুলিশ ও অন্য অন্যরা তাকে ধরার চেষ্টা করে। পুলিশ জানিয়েছে, বাথাম ব্যালকনি থেকে তার প্রতিবেশীর হাতে ওই শিশুকন্যাকে তুলে দেয়। বৃহস্পতিবার রাত একটার সময় স্থানীয়রা বাথামের বাড়ি চড়াও হয় এবং সামনের দরজা ভেঙে দেয়। প্রায় দশ ঘণ্টা ধরে চলে স্নায়ুযুদ্ধ। বাচ্চাদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেই সবচেয়ে বেশি নজর ছিল পুলিশের। একইসঙ্গে চেষ্টা চলছিল অভিযুক্ত সুভাষকে নিরস্ত্র করে হেফাজতে নেওয়ার। প্রথমে তার সঙ্গে কথা বলে আলাপ–আলোচনার মধ্যে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করে পুলিশ। কিন্তু তাতে ফল না মেলায় শেষ পর্যন্ত সুভাষকে গুলি করে মারতে বাধ্য হয় পুলিশ। তার পরেই বন্দি শিশুদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়। তাদের সঙ্গেই উদ্ধার করা হয় সুভাষের স্ত্রী ও কন্যাকে। কিন্তু স্থানীয় জনতা রাগের বশে আক্রমণ করে স্ত্রীকে। বেধড়ক মারধর করে তারা। তাদের দাবি, সুভাষের স্ত্রী সব জেনেশুনেই এই পরিকল্পনায় সায় দিয়েছিল। মারধরের খবর পেয়ে ছুটে আসে পুলিশ। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে শুক্রবার সকালে মৃত্যু হয় তার। রাত দেড়টার সময় পুলিশ বাথামের মৃত্যু নিশ্চিত করে। এই ঘটনায় পুলিশের প্রশংসা করে যোগী আদিত্যনাথ তাদের পুরস্কৃত করার কথা ঘোষণা করেন।

বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম বাথামের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে, যাতে সে তার দাবি সরকারের কাছে রাখতে পারে। বাথাম এর আগে স্থানীয় জেলা শাসককে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিল যে তার বাড়িতে শৌচালয়ের অভাব রয়েছে এবং তাকে সরকারি আবাসন দেওয়া থেকে বঞ্চিত করা হয়। সে জানায় যে সে একজন শ্রমিক এবং তার অসুস্থ মা রয়েছেন, যিনি খোলা জায়গায় শৌচকর্ম করতে পারবেন না। বাথামের দাবি, সে আগেও প্রশাসনকে শৌচালয় বানিয়ে দেওয়ার জন্য বলেছিল, কিন্তু প্রশাসন কোনও কথা শোনেনি।

পুলিশ জানিয়েছে বাথাম একজন খুনি এবং সে মানসিকভাবে সুস্থ নয়। পুলিশ মনে করছে, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে থাকতে পারে সুভাষ বথাম। সে বারবারই চিৎকার করে দাবি করছিল যে সে পুরোপুরি নির্দোষ, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

English summary
Farrukhabad hostage: Accused wife killed after mob attack
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X