যৌনতায় উন্মত্ত স্ত্রীর ভিডিও ছড়িয়ে পর্ন সাইটে! ইন্টারনেট ঘেঁটে আর কী খুঁজে পেলেন স্বামী
কামুক স্ত্রীর ভিডিও ছড়িয়ে পর্ন সাইটে! চোখ কপালে তুলে কিসের খোঁজ পেলেন স্বামী
মেয়ে কলকাতার। আর তাঁর স্বামী উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। পেশায় ৩৩ বছর বয়সী স্বামী একজন প্রযুক্তিবিদ। আর স্ত্রী (৩২) পেশায় চিকিৎসক। আর চার পাঁচটা প্রেম কাহিনির মতো চলছিল এঁদের প্রেম। যা গড়ায় বিয়েতে। ২০১৮ সালে বিয়ের পরও চলছিল সুখী দাম্পত্য। কিন্তু মাঝে সুর কাটাল কামুক স্ত্রীর দাবি দাওয়া। দাবি ছিল পর্ন ফিল্মে যেভাবে কামদৃশ্য অভিনীত হয়, সেভাবেই স্বামীকে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে চান স্ত্রী। এরপরই ঘটতে থাকে আজব ঘটনা।
স্ত্রীর চাপে পড়ে শুরু হয় পর্ন সাইট খুঁজে বের করার হিড়িক!
স্ত্রী চেয়েছেন পর্ন সাইটে যেভাবে ঘনিষ্ঠতা ও সঙ্গম দেখানো হয় , এক্কেবারে সেরকমভাবেই যেন তাঁর স্বামী ধরা দেন। এমন আবদার স্ত্রীর কাছ থেকে পেয়ে বেঙ্গালুরুর প্রযুক্তিবিদ একাধিক পর্ন সাইট খুঁজে ভঙ্গিমা আবিষ্কারের চেষ্টা করেন। আর এরপরই ঘটে তাক লাগানো ঘটনা।
চিকিৎসক স্ত্রীকে ঘিরে কিসের খোঁজ পেলেন স্বামী?
এরপরই বেঙ্গালুরুর ওই প্রযুক্তিবিদ বিভিন্ন পর্ন ফিল্ম ঘাঁটতে গিয়ে আবিষ্কার করেন এমন কিছু ভিডিও, যেখানে তাঁর নিজের স্ত্রীকেই পর্ন ফিল্মে দেখা গিয়েছে। মুহূর্তে হতবাক হয়ে যান ব্যক্তি। এরপর , সরাসরি স্ত্রীকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন তিনি। যার উত্তর ঘিরেও জটিলতা তৈরি হয়।
চিকিৎসক স্ত্রী কোন দাবি করেন?
স্বামীর বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে চিকিৎসক স্ত্রী বলেন, তাঁর 'প্রাক্তন' ও পুরনো প্রেমের সম্পর্কে তিনি ইতিমধ্যেই স্বামীকে বলেছিলেন। আর সেই সূত্রেই হয়তো এমন ভিডিও কোনও পুরনো 'বয়ফ্রেন্ড' ইন্টারনেটে দিয়ে দিয়েছে। এমন পর্নোগ্রাফির বিষয়ে মহিলা কিছুই জানেন না বলেও দাবি করেন। সেই যাত্রায় বেঁচে যায় বিয়ে! এরপর ঘটে আরও বড় কাণ্ড।
মহিলার ফোনে কী দেখতে পান স্বামী?
এরপর একদিন মহিলার মোবাইলে ওই ব্যক্তি দেখতে পান আরও একটি পর্ন ভিডিও। যেখানেও তাঁর স্ত্রী নিজেই 'অভিনেত্রী'র ভূমিকায়। ঘটনার সঙ্গে অনেকেই মিল পেতে পারেন ঋত্বিক চক্রবর্তী অভিনীত ছবি 'দ্যা ভায়োলিন প্লেয়ার' এর! ঠিক সেভাবেই স্ত্রীয়ের 'রূপ' আবিষ্কার করায় দাম্পত্যে আর বিশ্বাস রাখতে পারেননি স্বামী।
বর্তমানে কী পরিস্থিতি?
মহিলাকে আপাতত ছেড়ে অন্য একটি বাড়িতে থাকেন স্বামী। আর তিনি যেকোনও মতে ডিভোর্স চান। অন্যদিকে মহিলা বিয়েকে বাঁচাতে উদ্যোগী। দুই পক্ষরেই 'কাউন্সিলিং' করছে 'পরিহার' নামের একটি প্রতিষ্ঠান।