স্ত্রী সতীত্বের পরীক্ষায় ফেল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিয়ে ভাঙলেন স্বামী
নাসিক, ১ জুন : বিয়ে করার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে দিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের এক ব্যক্তি। অভিযোগ, স্ত্রী সতী নন, আর সেজন্যই স্থানীয় পঞ্চায়েতের সাহায্যে বিয়ে ভেঙে দিয়েছেন তিনি।
'নগ্ন সেলফি'-র আবদার হবু বরের, বিয়ের বানচাল ক্ষুব্ধ কনের
বাড়িতে শৌচাগার নেই পাত্রের : গণবিবাহের আসরে পাত্র পাল্টে বিয়ে তরুণীর
নাসিকের একটি গ্রামের এই ঘটনায় সারা মহারাষ্ট্রে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিয়ের পর কন্যার সতীত্ব পরীক্ষাই নাকি এই গ্রামের বাসিন্দাদের নিয়ম। গ্রামে কোনও অপরাধ হলেও তার শাস্তি ঠিক করে পঞ্চায়েতই। সেইমতো সতীত্ব পরীক্ষায় ডাহা ফেল করেছেন সদ্য বিবাহিত ২০ বছর বয়সী নববধূ।
তাঁকে গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বাড়ির মধ্যেই বন্দি করে রেখেছেন তাঁর পিতা। সঙ্গে বন্দি রয়েছেন মেয়ের মা-ও। মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয়েছে। বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। কারণ মেয়েটির বিরুদ্ধে অভিযোগ দুটি। প্রথমত মেয়েটি নববধূ হিসাবে সতীত্ব পরীক্ষায় ফেল করেছে। দ্বিতীয়ত, মা-কে সঙ্গে নিয়ে স্বামীর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানাতে গিয়েছে।
স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর
স্ত্রী পরপুরুষকে ভালোবাসে, খুশি মনে দুজনের বিয়ে দিলেন স্বামী
জানা গিয়েছে, গত ২২ মে দুজনের বিয়ে হয়। নববধূ সতী কিনা তা পরীক্ষার জন্য রাতে ঘরের বাইরে অপেক্ষা করেন পঞ্চায়েতের লোকজন। সেইমতো পরীক্ষার জন্য একটি সাদা বিছানার চাদরও দেওয়া হয় বরকে। সকালে দেখা যায়, চাদরে কোনওরকম রক্তের দাগ নেই।
ব্যাস, এরপরই বরের অভিযোগের ভিত্তিতে পঞ্চায়েত বসে। বর জানায়, স্ত্রীর রক্তপাত হয়নি। ফলে সে সতী নয়। অন্যদিকে মেয়েটি কাকুতিমিনতি করতে থাকে। সে জানায়, সে কঠোর পরিশ্রমী। দীর্ঘদিন ধরে সাইকেল চালাচ্ছে। ফলে সেজন্য এমন হতে পারে।
কিন্তু সেসবে কর্ণপাত করেনি পঞ্চায়েত। মেয়েটির সব গয়না কেড়ে নেয় বরপক্ষ। পরের দিন মেয়েটি নিজের মাকে সঙ্গে নিয়ে থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে এবার বাবার রোষে পড়ে। মেয়ে ও তারঁ মাকে ধরে ঘরে বন্দি করে রেখেছে বাবা।
প্রসঙ্গত, একবিংশ শতকে ভারত যখন প্রগতির পথে ঝড়ের বেগে এগোচ্ছে, তখন সমাজের এমন ঘটনা বারবার গভীর ক্ষত সৃষ্টি করছে। সর্বাগ্রে উন্নতি করতে হলে এমন ঘটনাকে সমাজ থেকে নির্মূল করার চেষ্টা করতে হবে সবাইকে। নাহলে বিশেষ ফল মিলবে না।