মঈন কুরেশি দুর্নীতি মামলায় কেন ডাকা হল না সন্দেহভাজন প্রাক্তন সিবিআই প্রধানদের? প্রশ্ন আদালতের
মঈন কুরেশি মামলায় সিবিআইকে তীব্র ভৎসনা আদালতের, তদন্তকারীদের সততা নিয়ে উঠল প্রশ্ন
দেশের অন্যতম প্রধান ধুনকুবের তথা বিখ্যাত মাংস রফতানিকারক মঈন কুরেশি মামলায় নতুন মোড়। সম্প্রতি এই মামলার শুনানি শুরু হয়েছে দিল্লিতে সিবিআই-র বিশেষ আদালতে। সেখানেই এই ঘটনায় সিবিআই-র তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেল বিচারককে।
নাম জড়ায় সিবিআই-র প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহার
সূত্রের খবর, ২০১৭ সালেই বিখ্যাত মাংস রফতানিকারক মঈন কুরেশির বিরুদ্ধে প্রথম একাধিক সরকারি আমলার হয়ে দালালি করার অভিযোগ সামনে আসে। বেশ কিছু মানুষকে বিশাল অঙ্কের ঘুষ দেওয়ার অভিযোগও শোনা যায়। এই ঘটনায় নাম জড়ায় সিবিআই-র প্রাক্তন ডিরেক্টর রঞ্জিত সিনহার।
নাম জড়ায় আরও দুই সিবিআই প্রধানের
অন্যদিকে ২০১৭ সালেই এই ঘটনায় নাম জড়াতে দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আরও দুই সিবিআই চিফ এ পি সিং এবং অলোক ভার্মার। যদিও সেই সময় থেকেই এই মামলার তদন্তভার এসে পড়েছিল সিবিআই-র হাতেই। সিবিআই-র তরফে দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতেই প্রাথমিক তদন্তও শুরু হয় বলে খবর।
কি বলা হয়েছিল এফআইআরে?
সেই সময় সিবিআই-র অভিযোগ, মাংস রফতানিকারকের কাজ দিয়েও কিছু আমলাদের মধ্যস্থতাকারী হিসাবেও কাজ করেছিলেন কুরেশি। এফআইআরে স্পষ্ট অভিযোগ, তাকে এই কাজে সহায়তা করেছিলেন প্রাক্তন সিবিআই প্রধান এ পি সিং। যিনি ২০১২ সালে তাঁর কাজ থেকে অবসরগ্রহণ করেন। কিন্তু এই ঘটনায় একাধিকবার প্রাক্তন তিন সিবিআই প্রধানের নাম জড়ালেও কেন তাদের এখনও সঠিক ভাবে জেরা করা হচ্ছে না তা নিয়েও এদিন তদন্তকারীদের রীতিমতো ভৎসনা সিবিআই-র স্পেশাল কোর্টের বিচারক সঞ্জীব আগরওয়াল।
তীব্র ভৎসনা সিবিআইকে
রীতিমতো সমালোচনার সুরে আদালতের প্রশ্ন, "একাধিক প্রমাণ থাকা সত্ত্বেও কেন প্রাক্তন দুই সিবিআই প্রধানের বিরুদ্ধে তদন্তপ্রক্রিয়া এগিয়ে নিয়ে গড়িমসি করছে তদন্তকারীরা ? তাহলে কি সিবিআইয়ের এই মামলায় তদন্ত করার আগ্রহ নেই? সিবিআই কি চায়না তাদের অপরাধ সামনে আসুক? " বিচারক আরও বলেন, "এই মামলায় সিবিআইয়ের দু'জন প্রাক্তন পরিচালকের(এপি সিং ও রঞ্জিত সিনহা) ভূমিকা রীতিমতো সন্দেহজনক। এই মামলায় তাদের ভূমিকাও তদন্তাধীন রয়েছে। এই বিষয়ে সৎ তদন্ত বিশেষভাবে প্রয়োজন।"
আদালতের সমালোচনার মুখে পড়ে কি বলল সিবিআই
আদালতের তরফে দ্রুত এই মামলার নিষ্পত্তির কথা বলা হলে সিবিআই-র আইনজীবী বলেন এখনও পর্যন্ত এই মামলায় ৫৪৪টি নথি সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন জন প্রধান অভিযুক্ত সহ ৬৩ জনের বয়ানও পরীক্ষা করা হয়েছে। এখনও বেশ কয়েকজন সন্দেহভাজন ও ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সাক্ষ্য প্রমাণ সংগ্রহের কাজ বাকী বলেও জানানো হয়। এদিকে সমস্ত সওয়াল জবাবের আগামী ২৭ অক্টোবর এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে আদালত।
ব্যাঙ্ক আর বিমা কর্মীদের বেতন থেকে দান পিএম কেয়ার্সে, কত টাকা জমা পড়ল জেনে নিন