সিবিআইয়ের অলোক বর্মা ইস্যুতে কেন্দ্রকে চেপে ধরল সুপ্রিম কোর্ট
কেন সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে কথা না বলেই অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হল? প্রশ্ন করেছে আদালত।
সিবিআই প্রধানকে পদ থেকে সরাতে গেলে সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে কথা বলতে হয়, পরামর্শ করতে হয়। তবে এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। তাই নিয়েই সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে প্রশ্ন করেছে। কেন সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে কথা না বলেই অলোক বর্মাকে সরিয়ে দেওয়া হল? প্রশ্ন করেছে আদালত।
মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-এর নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ মামলা শুনছে। সিবিআইয়ের ডেপুটি ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার সঙ্গে বিবাদের জেরে কোন পদ্ধতি অনুসরণ করে অলোক বর্মাকে সরানো হল তা আদালত জানতে চেয়েছে। সরকারের স্বচ্ছ হওয়া উচিত এই প্রসঙ্গ তুলে জানতে চাওয়া হয়েছে কেন সিলেকশন প্যানেলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
এর পাশাপাশি জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন সরকার কিছুদিন অপেক্ষা না করে ২৩ অক্টোবর রাতে অলোক বর্মাকে সরিয়ে দিল যেখানে তিনি আগামী ৩১ জানুয়ারি অবসর নেবেন।
মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ বলেন, অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানার মধ্যে দ্বন্দ্ব একদিনে তৈরি হয়নি। তাহলে কেন তার আগে সিলেকশন কমিটির মতামত নেওয়া হল না? প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
অ্যাটর্নি জেনারেল কেকে বেণুগোপাল বলেছেন, দুই সিনিয়র অফিসার গুরুত্বপূর্ণ মামলা না সামলে একে অপরের বিরুদ্ধে লড়ছিলেন। অলোক বর্মাকে কোথাও বদলি করা হয়নি। এর আগের দিন আদালতে বেণুগোপাল জানান, দুই অফিসার এমন দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েন যে সিবিআইয়ের ওপরে মানুষের আস্থা অটুট রাখতে কেন্দ্রকে হস্তক্ষেপ করতে হয় ও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, অলোক বর্মা ও রাকেশ আস্থানা, সিবিআইয়ের দুই শীর্ষ কর্তা একে অপরের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনেন। রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেন অলোক বর্মা। এদিকে আস্থানা পাল্টা বর্মার বিরুদ্ধে জালিয়াতির অভিযোগে সরব হন। পরে কেন্দ্র দুজনকেই পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে নাগেশ্বর রাওকে অন্তর্বর্তী সিবিআই ডিরেক্টর করে আনে। সেই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আলোক বর্মা সুপ্রিম কোর্টে গেলে সর্বোচ্চ আদালতে সেই মামলার শুনানি চলছে।