কী কারণে পিছিয়ে গেল মধ্যপ্রদেশের আস্থা ভোট? নেপথ্যে কমলনাথের কোন চাল!
বলা হচ্ছে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে অধিবেশন মুলতুবি করা হয় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার। আর এর জেরেই আজ আস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তা আপাতত হচ্ছে না। আর তাই স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারবেন কমলনাথ। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেসের সরকারকে আপাতত বাঁচিয়ে দিল করোনা ভাইরাস।

মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা ছিল কমলনাথের
মধ্যপ্রদেশের রাজ্যপাল লালাজি ট্যান্ডনের নির্দেশে আজই মধ্যপ্রদেশের বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা ছিল মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথের। তবে তাঁর হাতে তো শুধু মাত্র কংগ্রেসের ৯৪ জন বিধায়ক। এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে তিনি সরকার বাঁচাবেন। আস্থা ভোট নিয়ে দোনামনা দেখা যায় কংগ্রেসের অন্দরেও। রাজ্যপালের নির্দেশকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে কংগ্রেস বিধায়করা এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে বলেন কমলনাথকেই।

আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল করোনা ভাইরাস?
এদিকে আজ আস্থা ভোট হওয়ার কথা থাকলেও তাজ্জব কথা যে বিধানসভার কার্যপ্রণালীতে কিন্তু এই বিষয়টি 'লিস্টেড' বা তালিকাভুক্ত ছিল না। যা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তবে কী কংগ্রেস আগের থেকেই আস্থা ভোট পিছিয়ে দেওয়ার কৌশল ঠিক করে রেখেছিল?

বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ফ্যাক্টর
কংগ্রেসের অস্বস্তি বাড়ে একটি ভিডিও বার্তায়। মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস যতই বলুক যে ইস্তফা দেওয়া বিধায়করা তাদের সঙ্গেই আছেন, সেই দাবি যে সত্যি নয় তা প্রমাণ করে দিল একটি ভিডিও বার্তা। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার সঙ্গে কংগ্রস ত্যাগী ২১ বিধায়কের সেই ভিডিও বার্তায় আরও ঘোলাটে হয়ে যায় মধ্যপ্রদেশের রাজনৈতিক সমীকরণ। এক ভিডিও বার্তায় বিক্ষুব্ধ বিধায়করা জানিয়ে দিয়েছেন যে এখনও তাঁরা বেঙ্গালুরুতেই রয়েছেন। তাঁদের পূর্ণাঙ্গ সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা হলে তবেই তাঁরা ভোপাল ফিরে যাবেন।

সময় কেনার চালে বাজিমাত কমলনাথের!
এরপরই কংগ্রেসের হার প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। তবে করোনার কারণ দেখিয়ে এইভাবে সভা মুলতুবির বিষয়টি অনেকেই হার পিছিয়ে দেওয়া বা বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ঘরে ফেরানোর জন্য সময় কিনে নেওয়ার চাল হিসাবে দেখছেন। প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যপালের কাছে বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের বোঝানোর জন্য সময় চেয়েছিলেন কমলনাথ।

সমীকরণের নিরিখে কোথায় দাঁড়িয়ে কংগ্রেস?
এদিকে এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। ২২৮ সদস্যের বিধানসভায় ৬ জন বিধায়কের ইস্তফা ইতিমধ্যেই গ্রহণ করেছেন অধ্যক্ষ। এর জেরে সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ২২২-এ। যার অর্থাৎ ম্যাজিক ফিগার ১১২। তবে ২১ জন বিধায়ক ছাড়া সেই সংখ্যার ধারের কাছেও পৌঁছাবে না কমলনাথের সরকার।