কী কারণে বিশ্ববাজারে কমছে তেলের দাম? এতে কতটা লাভ হবে ভারতের!
করোনা ভাইরাসের প্রকোপের জেরে বিশ্বজুড়ে প্রায় সব দেশেই চলছে লকডাউন। এতে হু হু করে বিশ্ববাজারে কমছে জ্বালানি তেলের দাম। আর এই অবস্থায় বিশ্বে এই প্রথমবার তেলের দাম নেমে যায় ব্যারেল প্রতি শূন্য ডলারেরও নিচে। অর্থাৎ, উৎপাদনকারীরা তেল কেনার জন্য উল্টো ক্রেতাদের অর্থ দিচ্ছেন।
কী কারণে কমছে তেলের দাম?
তেলের চাহিদা কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের তেল সংরক্ষণাগারগুলো আর অতিরিক্ত তেলের চাপ নিতে পারছে না। চাহিদার থেকে উৎপাদন বেশি হয়ে যাওয়ায় সংরক্ষণাগারগুলো খআলি করতে বাধ্য হচ্ছে সংস্থাগুলো। আর এর জেরেই তেলের দাম কমে যাচ্ছে এই হারে। উৎপাদকেরা আশঙ্কা করছেন, মে মাসে সংরক্ষণাগার একেবারে উপচে পড়বে। এ পরিস্থিতিতে এই তেল নিজেদের কাছ থেকে সরাতে চাইছেন তাঁরা।
বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা
বিশ্বজুড়ে লকডাউনের কারণে ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এতে তেলের চাহিদা একেবারেই নেই। গতকাল মূলত মে মাসে যেসব তেল সরবরাহ করার কথা ছিল, সেগুলোর দাম কমেছে। কারণ সংরক্ষণাগারগুলোতে মে মাসের তেল রাখার জায়গা আর নেই।
দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত
১৩ এপ্রিল নানা আলোচনা জল্পনার পর ওপেক প্লাস ও তেল উৎপাদক মিত্রদেশগুলো উৎপাদন কমানোর ঐতিহাসিক সমঝোতায় পৌঁছায়। দৈনিক ৯৭ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হয়েছে শীর্ষ তেল উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের এই জোট, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের ১০ শতাংশ।
ভারতের জন্য এই পরিস্থিতি কতটা ভালো?
বিশ্লেষকেরা আশঙ্কা করছেন, বিশ্বজুড়ে লকডাউন জারি থাকলে জুনে যেসব তেল সরবরাহ করার কথা, তার দামও আরও কমতে পারে। এদিকে এই বিষয়টা ভারতের জন্য কতটা ভালো? অপরিশোধিত তেলের দাম একনাগাড়ে কমতে থাকায় এখন বিশ্ববাজারে মন্দার কালো ছায়া। তেলের দাম কমায় যেসব দেশের অর্থনীতি ধাক্কা খেয়েছে, সেই সমস্ত দেশে ভারতের রফতানি মার খাবে। অসুবিধায় পড়বে ভারতের তেল উৎপাদন এবং বিপণন সংস্থাগুলিও।
এই দামের হেরফের ভারতের অর্থনীতিতে কী প্রভাব পড়বে?
এদিকে ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে তেল রয়েছে। এই কারণে ইচ্ছা থাকলেও কম দামে বিশ্ব বাজার থেকে এখন তেল কিনতে পারবে না ভারত। এর জেরে ভারতীয় মুদ্রার দাম বাড়ার যেই আশা দেখা গিয়েছিল তাও রূপায়িত হবে না।