
মমতাকে রাজীব-মোরারজির সঙ্গে তুলনা, বিজেপি সাংসদ স্বামী ভরসন্ধ্যায় পারদ চড়ালেন দিল্লিতে
বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি সফরে গিয়েছেন। দিল্লি সফরে তাঁর নিজস্ব কিছু অ্যাজেন্ডা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এদিন তিনি বৈঠক করেছেন। সেখানে রাজ্যের বেশ কয়েকটি দাবি পেশ করেছেন। কিন্তু তার আগে আজ দিনের সবচেয়ে বড় চমক ছিল বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বৈঠকের আগে স্বামীর সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়েই সরগরম ছিল রাজ্য রাজনীতি তথা দিল্লির রাজনীতি।

মমতা-স্বামী বৈঠক
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করছেন। তাই নিয়ে বেলা থেকেই পারদ চড়ছিল। এমনও খবর রটে যায় যে তিনি সম্ভবত তৃণমূলে যোগদান করবেন। তবে আপাতত সেরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি। তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন, তৃণমূলে যোগদান করেননি। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে সাংবাদিকদের সামনে যে বক্তব্য রেখেছেন, তা আদতে তৃণমূলকে সুবিধা দেবে এবং বিজেপিকে চাপে রাখবে নিঃসন্দেহে। তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর বেরিয়ে এসে স্বামী বলেন, আমি ওনার সঙ্গেই ছিলাম। তাই আলাদা করে দলে যোগ দেওয়ার প্রয়োজন নেই।

স্বামীর বিস্ফোরক টুইট
তারপরে টুইট করে তিনি যেটা বলেছেন সেটা অনেক বড় কথা। স্বামী টুইটে লিখেছেন, যে সমস্ত রাজনীতিবিদদের সঙ্গে আমার সাক্ষাৎ হয়েছে বা আমি একসঙ্গে কাজ করেছি, তাঁর মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মোরারজি দেশাই, রাজীব গান্ধী, চন্দ্রশেখর এবং পিভি নরসিমা রাওয়ের সমতুল্য। তিনি আরও লিখেছেন, এঁদের মতোই মমতাও যা বলেন তাই মনে করেন, অথবা যা মনে করেন তাই বলেন। যেটা ভারতীয় রাজনীতিতে একটা বিরল গুণ।

মমতাকে রাজীব-মোরারজির সঙ্গে তুলনা
সুব্রহ্মণ্যম স্বামী যাদের নাম করেছেন তাঁরা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একসময় দায়িত্ব সামলেছেন। সেই আসনে এদিন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসিয়ে দিলেন। যে বক্তব্য তিনি রেখেছেন তার বিশেষ গভীরতা রয়েছে নিঃসন্দেহে। ফলে আগামী দিনে তিনি বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেন তা অবশ্যই দেখার।

ইঙ্গিতবহ স্বামী
প্রসঙ্গত সুব্রহ্মণ্যম স্বামী বেশকিছু ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী মোদী সরকারের কড়া সমালোচনা করে এসেছেন। গত মাসে বিজেপির জাতীয় কার্যকরী কমিটি থেকে বাদ পড়েন। এর আগে তিনি ভোটের প্রচারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আহত হলে তাঁর সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। এমনকী অক্টোবর মাসে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রোম সফর বাতিল হয়ে যায়, তা নিয়েও কেন্দ্রকে সমালোচনা করেছিলেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ফলে এই অবস্থায় তিনি যেভাবে তৃণমূল নেতৃত্বের প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন তা নিঃসন্দেহে ইঙ্গিতবহ।
Recommended Video
