অযোধ্যা থেকে ৯০০ কিমি দূরে কেন বন্ধ স্কুল, স্তব্ধ ইন্টারনেট?
অযোধ্যা থেকে ৯০০ কিমি দূরে কেন বন্ধ স্কুল, ইন্টারনেট?
অযোধ্যা নিয়ে দীর্ঘ দুই দশকের বিতর্কের অবসান ঘটেছে শনিবার। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, বিতর্কিত ওই জমি 'রাম লল্লা'র। ওই স্থানে রাম মন্দির তৈরির প্রক্রিয়া শুরু হবে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে অযোধ্যা ও তার আশেপাশের এলাকায় জরুরি অবস্থা জারি হয়েছে। বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ, অফিস। বন্ধ করা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবাও।
অযোধ্যায় প্রশাসনের এই তৎপরতা মেনে নেওয়া যায়। তা বলে সেখান থেকে ৯০০ মিটার দূরে রাজস্থানের ভরতপুরে শনিবার সারাদিন কেন বন্ধ করে রাখা হয় সব স্কুল? কেন বন্ধ করে রাখা হয় ইন্টারনেট পরিষেবা? নজরদারির লক্ষ্যে এলাকাজুড়ে বসানো হয় চার হাজার সিসিটিভি ক্যামেরা ও ড্রোন? এই প্রশ্নই এখন দেশের মানুষের মনে উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে বারংবার।
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে ফিরে যেতে হবে তিরিশ বছর আগের কোনও একদিনে। যেদিন ঠিক হয়, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের পাথর ও ইঁট আসবে এই এলাকা অর্থাৎ রাজস্থানের ভরতপুর থেকে। এরপর থেকে তিরিশ বছর ধরে ওই এলাকা থেকে অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের জন্য সাদা এবং গোলাপী পাথর আনা হয়েছে। শোনা যায়, ভরতপুরের বাঁশি পাহাড়পুর থেকে আসা সেসব পাথর দিয়ে সংসদ, রাষ্ট্রপতি ভবন, লাল কেল্লা, বুলন্দ দরওয়াজার মতো ভারতীয় স্থপতি তৈরি হয়।
বাঁশি পাহাড়পুরের খনি থেকে তোলা হয় এই নানা রঙের পাথর। যেগুলি ক্ষয়ে যায় না সহজে। পাথরগুলি আকারে এতটাই বড় যে এক একটা স্লাব দিয়ে রাম মন্দিরের এক একটি থাম তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। সেই পাথর দিয়ে অযোধ্যায় প্রস্তাবিত ১.৭৫ লক্ষ স্কোয়ার ফিটের দোতলা রাম মন্দির তৈরি করা হবে বলে তিরিশ বছর আগে ঠিক করেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তৎকালীন কার্যকরী সভাপতি অশোক সিঙ্ঘল। তাই অযোধ্যা মামলার রায়ের দিন নিরাপত্তার বলয়ে মুড়ে ফেলা হয় রাজস্থানের ভরতপুরও।