বিজেপি যোগ না বিদ্রোহ! কেন অপসারণ সচিনকে, ৫টি কারণ ব্যাখ্যা করল কংগ্রেস
ফের বড় ধাক্কা কংগ্রেসে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া হাত ছাড়ার পর এবার সচিন পাইলটের মতো দাপুটে নেতাও হাত ছাড়া হল কংগ্রেসে। নবীন প্রবীণের লড়াই যে দলের অন্দরে চরমে পৌঁেছছে তাতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। যদিও কংগ্রেস দাবি করেছে সচিনের মতো নেতাকে বহিষ্কার করার নেপথ্যে তাঁদের কাছে অন্য অনেক কারণ রয়েছে। তার মধ্যে পাঁচটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে কংগ্রেস।

শঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ
রাজস্থানের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে সোমবার বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই বৈঠকে যাতে দলের সব বিধায়করা অংশ নেন তার জন্য হুইপ জারি করেছিল কংগ্রেস। কিন্তু সেই বৈঠকেও হাজির থাকেননি সচিন পাইলট। স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ হয়েছে।

পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত
বিধানসভার পরিষদীয় দলের বৈঠকেই সর্বসম্মত ভাবে সচিনকে পদ থেকে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকী তাঁকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরানোর জন্য অশোক গেহলটকে ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছিল।

অপসারিত পাইলট
বিধানসভার পরিষদীয় দলের সিদ্ধান্ত মেনেই অশোক গেহলট সচিন পাইলটকে উপ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করেন। এবং তাঁর অনুরাগী ২ মন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করার কথা ঘোষণা করেন।

সরাসরি রাজ্যপালের কাছে
সচিনকে অপসারণের সিদ্ধান্ত যদিও ঘোষণা করেননি অশোক গেহলট। তিনি সরাসরি চলে যান রাজ্যপাল কনরাজ মিশ্রর বাসভবনে। সেখানে গিয়ে মন্ত্রিসভার রদবদলের সিদ্ধান্ত জানান।

দাবি রেখেছিলেন সচিন
সূত্রের খবর কংগ্রেসের হাইকমান্ডের কাছে কয়েকটি দাবি রেখেছিলেন সচিন পাইলট। তার মধ্যে অন্যতম ছিল তিনি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির পদেই থাকতে চেয়েছিলেন। কিন্তু দল তাঁর দাবি মেনে নেয়নি। তার পরেই সচিনকে অবসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং তাঁর জায়গায় রাজস্থানের প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান ঘোষণা করা হয়েছে গোবিন্দ সিং দোস্তারাকে।

সচিনকে বহিষ্কারের পরেই সোজা রাজ্যপালের দরবারে অশোক, ঘর গোচ্ছাচ্ছে কংগ্রেস