কেন পদত্যাগ করলেন নভজ্যোত সিং সিধু? জেনে নিন ৫টি কারণ
কেন পদত্যাগ করলেন নভজ্যোত সিং সিধু? জেনে নিন ৫টি কারণ
হঠাৎ করে পাঞ্জাবের কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে হইচই ফেলে দিয়েছেন নভজ্যোত সিং সিধু। শুধু কি অমরিন্দরের সঙ্গে বিরোধ না এর নেপথ্যে রয়েছে অন্যকোনও কারণ। সূত্রের খবর শুধু অমরিন্দর ফ্যাক্টর নয়। সিধুর পদত্যাগের নেপথ্যে কাজ করছে একাধিক ফ্যাক্টর। ৫টি ফ্যাক্টর কাজ করেছে সিধুর পদত্যাগের পিছনে। এমনই মনে করছে রাজনৈিতক মহল।
১. প্রথম কারণ রানা গুরজিত সিংয়। সিধু ভীষণভাব রানা গুরজিত সিংয়ের বিরোধী। ২০১৮ সালে রানা গুরজিত সিংয়ের নাম জড়িয়েছিল বালি পাচার কাণ্ডে। তখন থেকেই সিধু তার পুনরায় অন্তর্ভুক্তিতে বিরোধিতা করেছিলেন। কিন্তু সিধুর কথায় আমোল না দিয়েই নতুন মন্ত্রিসভায় রানা গুরজিত সিংয়ের অন্তর্ভুক্তি করানো হয়। কংগ্রেস হাইকমান্ড সিধুর বিরোধিতাকে আমল না জিয়েই কাপুরতলার বিধায়ক রানা গুরজিত সিংয়ের অন্তর্ভুক্তি করান। একই সঙ্গে সিধুর প্রবল বিরোধী রাজ কুমার ভরকাকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত কায় প্রবল চটেছিলেন সিধু।
২ উপমুখ্যমন্ত্রীকে সব গুরুত্বপূর্ণ দফত দেওয়ার বিরোধিতা। সূত্রের খবর সিধু নতুন উপমুখ্যমন্ত্রীর হাতে রাজ্যের সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব তুলে দেওয়ার প্রবল বিরোধিতা করেছিলেন। সিধু চেয়েছিলেমন রনধাওয়াকে না দিয়ে যেন সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রী নিজে নেন। রাণধাওয়ার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পথেও বাধা দিয়েছিলে সিধু। তার আপত্তিতেই এক প্রকার রনধাওয়াকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়নি। কিন্তু উপমুখ্যমন্ত্রী করে সব গুরুত্বপূর্ণ দফতরের মন্ত্রিত্ব রনধাওয়াকে দেওয়ায় অসন্তুষ্ট হয়েছিলে সিধু।
৩. অ্যাডভোটেক জেনারেলের নিয়োগ নিয়েও বিরোধ। পাঞ্জাবের কংগ্রেস সরকার সিনিয়র অ্যাজভোকেট জেনারেল হিসেবে এপিএস দেওয়লের নাম উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু সেটা না করে দেওয়লকেই অ্যাডভোকেট জেনারেল হিসেবে নিয়োগ করা হয়। তাতেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছিলেন সিধু।
৪. কংগ্রেসের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হয়েও সিধুর মতামত মেনে কোনও অফিসারকে নির্বাচিত করা হয়নি। নিজের পছন্দের কোনও পুলিশ অফিসারকে তিনি পাননি। তারপরেই সিধুর অনুগামী ৩ মন্ত্রী মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।
৫. সিধুকে অবজ্ঞা করা হয়েছে দফায় দফায়। প্রথমে অমরিন্দরের নেতৃত্বে ভোট হওয়ার কথা বলেছিলেন হরিশ রাওয়াত। তারপরে অমরিন্দরের পদত্যাগের পর সিধুর নেতৃত্বে দল লড়বে বলে দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু চান্নি সরকার আসার পরেই সিধুর বিরোধিতা শুরু করেছিলেন তিনি। এবং সিধুর নেতৃত্বে যে রাজ্যে ভোট হচ্ছে না তা নিয়ে কথা বলতে শুরু করে দিয়েছিলেন।