দবিন্দর সিং গ্রেফতার নিয়ে চুপ কেন মোদী–অমিত শাহ, টুইট রাহুল গান্ধীর
দবিন্দর সিং গ্রেফতার নিয়ে চুপ কেন মোদী–অমিত শাহ, টুইট রাহুল গান্ধীর
জম্মু–কাশ্মীরের ডিএসপি দবিন্দর সিংয়ের গ্রেফতারি নিয়ে নীরব কেন কেন্দ্র সরকার? শুক্রবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এভাবেই মোদী শাসিত সরকারকে কটাক্ষ করলেন। প্রসঙ্গত এদিন দেবেন্দ্র সিংয়ের মামলাটি এনআইয়ের হাতে চলে যাওয়ার পরই সরব হন কংগ্রেস নেতা।
শুক্রবার রাহুল গান্ধী টুইটে বলেন, 'সন্ত্রাসবাদী ডিএসপি দবিন্দর সিংকে নীরব রাখার সর্বোত্তম উপায় হল এনআইকে মামলাটি হস্তান্তর করে দাও। এনআইয়ের মাথায় রয়েছে আর এক মোদী, ওয়াইকে, যিনি গুজরাট দাঙ্গা ও হরেন পাণ্ডে হত্যার তদন্ত করেছিলেন। ওয়াইকের তত্ত্বাবধানে এই মামলাটি মৃতের মতোই ভালো হবে।’ এরপর রাহুল হ্যাশট্যাগ দিয়ে 'কে কে চান দবিন্দর সিংয়ের নীরবতা এবং কেন’? ১৬ জানুয়ারি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এনএসএ কেন চুপ রয়েছেন জম্মু–কাশ্মীরের ডিএসপি গ্রেফতারিতে।
দবিন্দর সিংকে গ্রেফতার করা হয় পুলওয়ামা থেকে, যিনি জঙ্গিদের আশ্রয় দিতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। বৃহস্পতিবার টুইট করে কংগ্রেস সাংসদ বলেন, 'ডিএসপি দবিন্দর সিংয়ের বাড়ি থেকে তিন জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের হাতে রক্ত লেগে ছিল। জঙ্গিদের আশ্রয় এবং দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকার অপরাধে ওই ডিএসপির চরম শাস্তি পাওয়া উচিত। অবিলম্বে ফাস্ট–ট্র্যাক আদালতে এই মালার শুনানি হোক।’ এই টুইটের সঙ্গে তিনি একাধিক প্রশ্নও জুড়েছেন। যাতে উল্লেখ রয়েছে পুলওয়ামা নাশকতায় ওই ডিএসপির ভূমিকা কি? ওই তিনজন বাদে মোট কতজন জঙ্গিকে সাহায্য করেছেন ওই আইপিএস? কে ওকে এতদিন রক্ষা করে এসেছে এবং কেন?
একই সুর শোনা গিয়েছে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর গলাতেও। এই ঘটনার পূর্ণ তদন্ত দাবি করে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, 'দেশের জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে দবিন্দর সিংয়ের গ্রেফতারি অনেক প্রশ্ন তুলছে। বিদেশী কূটনীতিবিদদের নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন ওই আইপিএস। কার নির্দেশে তিনি এ কাজ করছিলেন? জঙ্গি নাশকতায় সাহায্য করা দেশদ্রোহিতা।’ ১৬ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এনআইকে এই মামলার তদন্তভার নেওয়ার জন্য বলা হয়। জানা গিয়েছে, জম্মু–কাশ্মীরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে দবিন্দর সিংকে বরখাস্ত করে দেওয়া হবে। গত ১১ জানুয়ারি দবিন্দর সিং সহ হিজবুল মুজাহিদিন কম্যান্ডার নভীদ বাবু, তার সহযোগী রফি ও আইনজীবি ইরফানকে কুলগামের কাছে হাইওয়েতে এক গাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
কক্ষপথের উদ্দেশ্যে পাড়ি জিস্যাট–৩০, যোগাযোগ ব্যবস্থা হবে আরও উন্নত