মধ্যপ্রদেশে জনপ্রিয় পাথর নিক্ষেপ উৎসব ‘গোটমার’, এর নেপথ্যে কোন কাহিনী রয়েছে
মধ্যপ্রদেশে জনপ্রিয় পাথর নিক্ষেপ উৎসব ‘গোটমার’, এর নেপথ্যে কোন কাহিনী রয়েছে
প্রতি বছর মধ্যপ্রদেশে চিন্দওয়ারা জেলায় 'গোটমার' উৎসব পালিত হয়। এই উৎসবে মূলত একে অপরকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়া হয়। এই উৎসবের জেরে রাজ্যে কয়েকশো মানুষ আহত হন। চলতি বছর এই পাথর নিক্ষেপ উৎসবকে সামনে রেখে মধ্যপ্রদেশ সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল ইতিমধ্যে মোতায়েন করা হয়েছে।
পাথর নিক্ষেপ উৎসকে কেন্দ্র করে মধ্যপ্রদেশের প্রস্তুতি
পাথর নিক্ষেপ উৎসবকে কেন্দ্র করে চিন্দওয়ারা জেলায় ব্যাপক পরিমাণে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হয়েছে। ওই এলাকায় পাঁচ জনের বেশি একটি চিকিৎসকের দলকে পাঠানো হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সঞ্জয় উইকি বলেছেন, উৎসবের দিন ড্রোন ব্যবহার করা হবে। ঘটনাস্থলে নজকদারির জন্য একাধিক ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। আগাম নিরাপত্তা হিসেবে বর্তমানে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
‘গোটমার উৎসব’ কী
মধ্যপ্রদেশের চিন্দওয়ারা জেলার পান্ধুরনা অঞ্চলে এই 'গোটমার উৎসব' পালন করা হয়। এই এলাকায় একটি ঐতিহ্যবাহী উৎসব। অতীতে বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে প্রাণ হারিয়েছেন। গোটমার উৎসবের সময় সাওয়ারগাঁও ও পান্ধুরনা গ্রামের বাসিন্দারা একটি মরা নদীর দুপাশে জমা হন। নদীর মাঝখানে একটি মরা গাছে একটা পতাকা থাকে। সেই পতাকাকে ছিনিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে লড়াই হয়। সেই সময় একে অন্যের ওপর পাথর নিক্ষেপ করতে থাকেন। করোনা মহামারীর জেরে গত দুই বছর এই উৎসব পালনের ওপর স্থানীয় প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
কেন পাথর নিক্ষেপ করা হয়
প্রায় ৩০০ বছর আগে এই প্রথা চালু হয়েছিল। কথিত আছে, পান্ধুরনা গ্রামের এক পুরুষ সাওয়ারগাঁও গ্রামের একটি মহিলাকে অপহরণ করেন। নদী পার হওয়ার সময় তাঁরা নদীতে একটি বড় পাথরে ধাক্কা খেয়েছিল। পান্ধুরনা গ্রামের বাসিন্দারা তাঁদের উদ্ধার করেন। মহিলাটিকে নিরাপদে নিজের বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে আসেন। তারপর থেকেই এই উৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
উত্তরাখণ্ডে পাথর নিক্ষেপ উৎসব
উত্তরাখণ্ডের চম্পাওয়াত জেলার কুমাওতে অনেকটা এই ধরনের উৎসব পালন করা হয়। সেখানে এই উৎসব বাগওয়াল উৎসব নামে পরিচিত। চম্পাওয়াত জেলার ওয়ারাহি মন্দিরের সামনে একে অপরকে পাথর নিক্ষেপ করা হয়। গত দুই বছর কোভিড মহামারীর কারণে এই উৎসব বন্ধ ছিল। চলতি বছর এই উৎসবে প্রায় কয়েক হাজার স্থানীয় মানুষ অংশগ্রহণ করেছিলেন। ঘটনায় ২৩০ জন আহত হয়েছিলেন। তারমধ্যে তিন জন গুরুতর জখম হয়েছিলেন। জানা গিয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন পাথরের পরিবর্তে একে ওপরকে ফুল ও ফল ছোঁড়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের নজর এড়িয়ে অনেকে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। দেবীকে খুশি রাখার জন্য এই উৎসব বহু বছর আগে শুরু হয়েছিল।
বিধায়কের হয়ে গলা ফাটিয়ে রোষানলে, বেসুরো বাজতেই সটান বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত তৃণমূলের