ওমিক্রন আতঙ্কের মাঝে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে সংশয়ে খোদ কোভিড টাস্ক ফোর্স প্রধান
করোনার নয়া প্রজাতি নিয়ে বেশ উদ্বেগে দিন কাটাচ্ছে বিশ্ববাসী। আর এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতের কোভিড টাস্ক ফোর্সের প্রধান ভি কে পাল মঙ্গলবার একটি সম্ভাব্য পরিস্থিতির কথা জানান। দেশে ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ পার করেছে। ভি কে পাল জানান, 'যেভাবে করোনা ভ্যারিয়েন্ট গুলির রূপ ও ধরনের পরিবর্তন হচ্ছে,তার জন্য ভারতের টিকাকরণ প্রক্রিয়াতেও সামঞ্জস্য রেখে পরিবর্তন করার প্রয়োজন পড়তে পারে।'

সংক্রমণের হার অনেক কম বা মাঝারি স্তরের
ভিকে পাল আরও বলেন, আমরা আশা করছি এই মহামারির শেষের দিকেই এগোচ্ছি যেখানে সংক্রমণের হার অনেক কম বা মাঝারি স্তরের হতে পারে।

‘আগামী দিনে আমাদের তৈরি টিকাগুলি অকার্যকর’- VK paul
গবেষকরা ইতিমধ্যে ওমিক্রন নিয়ে চিন্তা প্রকাশ করেছে। VK paul বলেন, বর্তমানে যে কঠিন পরিস্থিতি চলছে তাতে আগামী দিনে আমাদের তৈরি টিকাগুলি অকার্যকর হলেও হতে পারে। ৩ সপ্তাহ ধরে ওমিক্রন আমাদের সঙ্গী হয়ে উঠেছে। আমরা দেখেছি কীভাবে নয়া নয়া উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। বারবার উঠেছে নানান প্রশ্নও। আমাদের কাছে ওমিক্রনের ভ্যারিয়েন্টের স্পষ্ট কোনও ছবি নেই। পলের মতে, পরবর্তী মহামারির জন্য আমাদের এখন থেকে প্রস্তুত থাকা দরকার। অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স চ্যালেঞ্জও ড্রাগ সমাধানের জন্যও সমাধানের দরকার।

WHO এর মতে ওমিক্রন কি
চলতি বছরে নভেম্বর মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার নয়া প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। WHO এর তরফে বি.১.১.৫২৯ ভ্য়ারিয়েন্টকে "উদ্বেগের কারণ" হিসাবে আখ্য়া দেওয়া হয়। কয়েক সপ্তাহ পরেই তা পৃথিবীর নানা জায়গায় শোনা যায়। ভিকে পাল বলেন, ওমিক্রনের গতি ও প্রকৃতি ক্রমশই পরিবর্তন হচ্ছে। আর তার জন্যে আমরা বারবার চিন্তিত হয়ে পড়ছি। তার জন্য টিকাকরণ অভিযোজনের জন্য আমরা প্রস্তুত। কোভিড-১৯ এর ভ্যারিয়েন্টে যত বৈচিত্র আসবে, ততই আমাদেরও পরিবর্তন আনতে হবে।

টিকা করণের ওপর বিশেষভাবে জোর
ভি কে পাল জানান, করোনার টিকা করণের ওপর বিশেষভাবে জোর দিতে হবে। শুধু টিকা নিলেই চলবে না সেই সঙ্গে নিতে বুস্টার ডোজও। পাশপাশি তিনি আরও বলেন, করোনা ছাড়াও আরও যে কোন ভাইরাল রোগের সঙ্গে লড়ার জন্য আমাদের ওষুধ বানানো দরকার।

কোনও ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়
কোভিড ১৯ এসে মানুষকে বুঝিয়ে দিয়েছে, যে কোনও ভাইরাসকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়, একইভাবে অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ব্য়বস্থা ও পরিকাঠামোর উপরও বিশেষ জোর দেওয়া উচিত বলে জানান ভি কে পাল। তিনি বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতি এখনও শেষ হয়নি। তবুও আমরা এর সাথে লড়াই করে যাচ্ছি। তা আমরা আশা করছি এই মারণ সংক্রমণ সামান্য রোগে পরিণত হবে। যাকে আমরা নিয়ন্ত্রন করতে পারব।
