কেন পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস? ২৬ শে জানুয়ারির প্রাক্কালে রইল কিছু চমকপ্রদ অজানা তথ্য
গত বছরের স্বাধীনতা দিবসের পর চলতি বছরের প্রজাতন্ত্র দিবসেও পড়েছে করোনার কোপ। এদিকে ভারতের যুগ পুরুষ নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর জন্মজয়ন্তীর পরপরই, ফের দেশবাসীর মধ্যে দেশাত্মবোধ জাগরন দেয়া যায় এই ২৬ শে জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসের দিনেই। দেশের বিভিন্ন প্রান্তেই এদিন ফের স্বমহিমায় উড়তে দেখা যায় দেশবাসীর গর্বের তেরঙ্গা পতাকা। কুচকাওয়াজ, দেশাত্মবোধক গান, পতাকা উত্তোলনের মত নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিবছর এই দিনটিতে পালিত হয় প্রজাতন্ত্র দিবস। কিন্তু জানেন কি এই দিনটির গুরুত্ব আসলে কোথায়? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই দিনের নেপথ্যে থাকা কিছু অজানা তথ্য।

২৬ জানুয়ারিই কেন প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপন করা হয় ?
১৯৫০ সালে বাবাসাহেব আম্বেদকরের হাত ধরে দেশের সংবিধান তৈরি হওয়ার পর, তা কার্যকর করার জন্য একটি দিনের প্রয়োজন ছিল। সেই সময় বেছে নেওয়া হয় ২৬ জানুয়ারিকেই। এই কারণেই ২৬ জানুয়ারি দেশের প্রজাতন্ত্র দিবস নামে পরিচিত। স্বাধীনতা দিবস ও প্রজাতন্ত্র দিবস দুই দিনেই ভারতে জাতীয় ছুটি থাকে।

স্বাধীনতা দিবস বদলে হল প্রজাতন্ত্র দিবস
প্রথমে ২৬ শে জানুয়ারি দিনটিকে মানা হত স্বাধীনতা দিবস হিসেবে। ১৯২৯ সালে পন্ডিত জওহরলাল নেহেরু পূর্ণ স্বরাজ আনার শপথ নেওয়ার পরপরই ২৬ শে জানুয়ারিকে স্বাধীনতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসন থেকে ১৯৪৭ সালের ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল ভারত, তখন স্বাধীনতা দিবসের মর্যাদা হারালো ২৬ শে জানুয়ারি।

প্রজাতন্ত্র দিবস আর স্বাধীনতা দিবসের আসল পার্থক্য কোথায় ?
১৯২৯ সালের বর্ষশেষে দেশের জওহরলাল নেহেরুর নেতৃত্বে 'পূর্ণ স্বরাজের' শপথ ঘোষণার পর ১৯৩০ সাল থেকে ২৬ জানুয়ারিকেই স্বাধীনতা দিবস ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ঔপনিবেশিক শাসনের শিকল ভেঙে ভারত যেদিন বাস্তবেই স্বাধীনতার মুখ দেখল সেইদিনটি ছিল ১৫ই অগাস্ট। যার ফলে বদল হয়েছিল ২৬শে জানুয়ারির গুরুত্বও।

করোনার কারণেই প্রজাতন্ত্র দিবসে কোপ
১৯৫০ সালে অর্থাৎ স্বাধীনতার ঠিক আড়াই বছরের মাথাতেই এই দিনে কার্যকর হল ভারতীয় সংবিধান। তখন থেকেই ২৬ শে জানুয়ারি স্বাধীনতা দিবসের অভিধা বদলে দেশে পালিত হল প্রজাতন্ত্র দিবস। অন্যদিকে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজেও থাকছে একাধিক বিধিনিষেধ। এমনকী যাত্রাপথের দৈর্ঘ্যও অনেকটাও কমিয়ে ফেলা হয়েছে। এমনকী রাজপথে দর্শকের সংখ্যাও অনেকটাই কমিয়ে ফেলা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় সূত্রে খবর।
পরিকাঠামো প্রকল্পগুলির শ্রীবৃদ্ধিতে নয়া ভাবনা! আসন্ন বাজেটেই নয়া ব্যাঙ্কের ঘোষণা করতে পারেন নির্মলা