'লাদাখ নিয়ে মিথ্যে কেন বলছেন মোদী?' এবার রাহুল গান্ধীর হাতে অস্ত্র তুলে দিল খোদ প্রতিরক্ষামন্ত্রক
সম্প্রতি ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের ওয়েবসাইটে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় লাদাখ সম্পর্কিত। তাতে মেনে নেওয়া হয় যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ড দকল করেছে। সেই স্বীকারোক্তিমূলক রিপোর্টকে উদ্ধৃত করেই ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জোর আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
লাদাখ ইস্যুতে প্রথম থেকে রাহুলের দাবি
কংগ্রেস প্রথম থেকেই দাবি করে এসেছিল যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে এলাকা দখল করে নিয়েছে। তবে এই বিষয়ে কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল ভিন্ন। কেন্দ্রের তরফে বারবারই বলা হয় যে চিন ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেনি। কিন্তু কেন্দ্রের এই কথা না মেনে রাহুল গান্ধী ধারাবহিক ভাবে প্রধানমন্ত্রী মোদীক আক্রমণ করে গিয়েছেন।
রাহুলের হাতে হাতিয়ার তুলে দিল কেন্দ্র
সেই আক্রমণ জারি রাখতে রাহুল গান্ধীর হাতে প্রয়োজনীয় রসদ তুলে দিল কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রক স্বয়ং। রাজনাথ সিংয়ের অধীনে থাকা এই মন্ত্রকের ওয়েবসাইটের একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, মে মাসেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল চিনের সেনা। গালওয়ান সংঘর্ষ হয় এর অনেক পড়ে।
কী লেখা প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের সেই রিপোর্টে
প্রতিরক্ষামন্ত্রকের রিপোর্টে লেখা, 'কুগ্রাং নালা (হটস্প্রিংয়ের উত্তরে অবস্থিত প্যাট্রল পয়েন্ট/ফিঙ্গার ১৫), গোগরা, (ফিঙ্গার ১৭এ) এবং প্যাংগং সো হ্রদের উত্তরের এলাকায় ১৭ ও ১৮ মে চিনা সেনা অনুপ্রবেশ করেছিল।' ঠিক এই দখলদারির কথা না বললেও কংগ্রেসর প্রথম থেকে বক্তব্য ছিল, চিন ভারতে ঢুকেছে এবং কেন্দ্র তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
লাদাখের উত্তেজনা জারি
এরপরই জুন মাস জুড়ে বৈঠক ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি থাকে লাদাখে। যার মধ্যে ১৫ জুন এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ভারতের পক্ষে ২০ জন সেনাকর্মী শহিদ হন, চিনের তরফে অন্তত ৪৩ জন মারা যায়। এরপরই ৬ জুলাই প্রথমবার দুই পক্ষের সেনা এলাকা থেকে নিজেদের জওয়ান প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে। তবে সেই প্রক্রিয়া চিন ঠিক ভাবে চালাচ্ছে না বলেই ফের উত্তেজনা বাড়ছে লাদাখে।
করোনা আবহে থমকেই ভারতীয় অর্থনীতি, চেষ্টা করেও দিশা দেখাতে ব্যর্থ আরবিআই