গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যু নিয়ে হইচই, কেরলে সঙ্ঘকর্মীদের খুন নিয়ে নীরবতা কেন, প্রশ্ন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীর
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ একদিকে যেমন এই খুনের নিন্দা করলেন, অন্যদিকে কেরলের আরএসএস কর্মী খুন নিয়েও প্রশ্ন তুললেন।
মুক্তমনা সাংবাদিক গৌরী লঙ্কেশের খুনের নিন্দা করেও প্রশ্ন তুলে দিল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ একদিকে যেমন এই খুনের নিন্দা করলেন, অন্যদিকে কেরলের আরএসএস কর্মী খুন নিয়েও প্রশ্ন তুললেন। অপরদিকে গৌরী লঙ্কেশের খুনের জন্য বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারকে দায়ী করায় রাহুল গান্ধীকেও ছেড়ে কথা বললেন না তিনি।
কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যু নিঃসন্দেহে দুর্ভাগ্যজনক। তাঁকে যেভাবে খুন করা হয়েছে তা মেনে নেওয়া যায় না। কিন্তু তাঁর মৃত্যুতে যেভাবে দোষারোপ চলছে তাতেও নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। গৌরী লঙ্কেশের মৃত্যু নিয়ে এত হইচই হচ্ছে কিন্তু কেরলে যে পরপর আরএসএস কর্মীকে খুন করা হল, তা নিয়ে কেউ কিছু বলছে না বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী। সঙ্ঘ পরিবারের সদস্যদের কি মানবাধিকার থাকে না, এই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। উল্লেখ্য কেরলে গত তিন মাসে একাধিক আরএসএস কর্মী খুন হয়েছেন। এই ঘটনাগুলিতে সিপিএম ও কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
গৌরী লঙ্কেশকে খুনের পরেরদিনই বিজেপি ও সঙ্ঘ পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন কংগ্রেস সহসভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিন রাহুলকে জবাব দিতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয়মন্ত্রী। তিনি বলেন, এর আগে কর্নাটকেই এম এম কালবুর্গিকে খুন করা হয়, তারপর গৌরী লঙ্কেশ। কর্নাটকের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাহুল গান্ধী কোনও কথা কেন বলছেন না। রাজ্য সরকারের কাছে তাঁরাও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রবিশঙ্কর প্রসাদ।
[আরও পড়ুন: গৌরী লঙ্কেশের খুনে কর্ণাটক মন্ত্রীর আজব ঘোষণা, চারিদিকে হইচই ]
গৌরী লঙ্কেশ মাওবাদীদের মূল স্রোতে ফেরাতে কর্নাটক সরকারের অনুমতি নিয়েই কাজ করছিলেন। কিন্তু তাহলে রাজ্য সরকার তাঁর উপযুক্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেনি কেন সেই প্রশ্নও তুলেছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।