শপথ গ্রহণের দু’সপ্তাহ পরে আস্থা ভোটে আগ্রহী নীতীশ কুমার! কোন পথে বিহারের রাজনীতি
শপথ গ্রহণের দু’সপ্তাহ পরে আস্থা ভোটে আগ্রহী নীতীশ কুমার! কোন পথে বিহারের রাজনীতি
বিহারে অষ্টম বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। নীতীশ কুমারের শপথের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বিহারের নতুন শাসক মহাগঠবন্ধন (মহাজোট)-এর ৫৫ জন বিধায়ক স্পিকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন। বিহারের বিধানসভার স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা নীতীশ কুমারের প্রাক্তন জোটসঙ্গী বিজেপির বিধায়ক। অন্যদিকে, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমারের শপথ নেওয়ার পর বিধানসভার প্রথম অধিবেশন ২৪ আগস্ট হতে চলেছে। কোনও ধরনের ঝুঁকি নীতীশ কুমার নিতে চাইছেন না, সেই কারণেই এই সিদ্ধান্ত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
নীতীশ কুমারের নো রিস্ক প্ল্যান
জেডিইউ-এর প্রাক্তন জাতীয় সভাপতি রামচন্দ্র প্রসাদ সিং দল ছাড়ার পর তাড়াহুড়ো করেই দলের বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এবং সেখানে তিনি বিজেপি জোট থেকে বেরিয়ে এসে মহাগঠবন্ধের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে নীতীশ কুমার ও উপ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তেজস্বী যাদব শপথও নেন। তবে এরপরে আস্থা ভোটের আগে তিনি বেশ খানিকটা সময় নিতে চাইছেন নীতীশ কুমার। যে কোনও ধরনের ঝুঁকি এড়াতে এই সময় তিনি চাইছেন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সেই কারণেই ২৪ আগস্ট বিধানসভায় প্রথম অধিবেশন বসতে চলেছে। ২৫ আগস্ট আস্থা ভোট হবে। সাধারণত রাজ্যপাল অধিবেশন ডাকেন। তবে সেক্ষেত্রে তাঁকে সরকারের সুপারিশ অনুযায়ী সেই অধিবেশন ডাকতে হয়।
আস্থা ভোটের আগেই স্পিকার নির্বাচন
অধিবেশনের শুরুর দিনেই স্পিকার বিজয় কুমার সিনহাকে অপসারণ করা হবে। সেখানে নতুন স্পিকার নির্বাচিত করা হবে। তারপরের দিন অর্থাৎ ২৫ তারিখ আস্থা ভোট হবে। বিজেপির বিধায়ক বিজয় কুমার সিনহা এখনও স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দেননি। তিনি শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশেই কাজ করছেন। তবে অধিবেশনের আগেই বিজয় কুমার সিনহা স্পিকার পদ থেকে ইস্তফা দিতে পারেন। ইতিমধ্যে মহাগঠবন্ধনের ৫৫ জন বিধায়ক তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছেন।
পরবর্তী স্পিকার আরজেডি থেকে
'কাকা ভাইপো'র চুক্তি অনুযায়ী রাজ্যের পরবর্তী স্পিকার আরজেডি থেকে হওয়ার কথা রয়েছে। তবে বিহারের পরবর্তী স্পিকার কে হবেন, সেই বিষয়ে আরজেডি কোনও নাম প্রকাশ করেনি। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে স্পিকার বিজয় কুমার সিনহার সম্পর্ক মোটেই ভালো ছিল না। জুন মাসে ডেজিইউ একটি অধিবেশন এড়িয়ে গিয়েছিল। সেই সময় বিজেপি সেরা বিধায়ক কে এই বিষয়ে একটি আলোচনা করতে চেয়েছিল। অন্যদিকে আবার প্রতিরক্ষা বিভাগের স্বল্প মেয়াদের নিয়োগ অগ্নিপথ প্রকল্পের বিরোধিতা করে বিধানসভা আলোচনায় অনুমতি দেয়নি স্পিকার বিজয় কুমার সিনহা। বিজেপির সঙ্গে বার বার নীতীশ কুমারের মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছে। তবে সম্প্রতি নীতীশ কুমারের কেন্দ্র সরকারের প্রকল্প অগ্নিপথের বিরোধিতা সংবাদের শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল।
তেজস্বী যাদবকে নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোটের আগে সাবধান করেছিল বিজেপি! অভিযোগ জেডিইউ নেতার