আধার আইনকে কেন অসাংবিধানিক বললেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৪-১ ভোটে এগিয়ে থাকায় আধারকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে যিনি আধারের বিপক্ষে ছিলেন তিনি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চে ৪-১ ভোটে এগিয়ে থাকায় আধারকে সাংবিধানিক বৈধতা দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে যিনি আধারের বিপক্ষে ছিলেন তিনি বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। আধার আইনকে অসাংবিধানিক বলে ব্যাখ্যা করেন তিনি। এমনকী সরকার জালিয়াতি করেছে বলেও জানিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
আধার আইনকে অর্থ বিল হিসাবে পাশ করিয়েছে কেন্দ্র। যার বিরোধিতা করেছেন তিনি। আধারকে সাংবিধানিক মান্যতা দিয়ে বিচারপতি একে সিকরি নিজের রায় পড়ে শোনালেও আলাদা করে নিজের রায় জানিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়।
রাজ্যসভাকে খাটো করে সংবিধানের ১১০ নম্বর ধারাকে অবমাননা করার জন্য আধার আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিচারপতি চন্দ্রচূড়। লোকসভায় আধার বিলকে অর্থ বিল হিসেবে পাশ করানোর প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেছেন, এভাবে কেন্দ্রের সরকারি দলের রাজ্যসভাকে এড়িয়ে যাওয়া কোনওভাবেই উচিত কাজ হয়নি। এটাকে এক ধরনের জালিয়াতি বলেও তিনি ব্যাখ্যা করেন।
বিচারপতি চন্দ্রচূড়ের ব্যাখ্যা, যে দল কেন্দ্রে সরকারে রয়েছে, তাঁরা রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ নাও হতে পারে। তাই বলে রাজ্যসভাকে খাটো করে এভাবে অর্থ বিল হিসাবে আধার বিল পাশ করানো একধরনের জালিয়াতি। তাই অবিলম্বে এই আইন বাতিলের পক্ষে মত দেন তিনি।
ঘটনা হল, আধারকে সাংবিধানিক মান্যতা দিলেও বিভিন্ন পরিষেবা যেমন ব্যাঙ্ক, মোবাইলের সিম, স্কুলে ভর্তি ইত্যাদিতে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক নয় বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে। একইসঙ্গে প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ বাধ্যতামূলক করার নিয়মকেই শীর্ষ আদালত মান্যতা দিয়েছে।