ঠিক ২০ বছর আগে আজকের দিনে Parliament-এ কী ঘটেছিল, যা আজও মনে পড়লে গায়ে কাঁটা দেয়!
৫ জন বন্দুকধারী আততায়ীরা ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর কেন এত উল্লেখযোগ্য! কী ঘটেছিল সেদিন? ভারতীয় সংসদে জঙ্গি হামলা নিয়ে ২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর বেশ উত্তাল হয়ে উঠেছিল। দিল্লির ভারতীয় সংসদ ভবনে লস্কর-ই-তৈবা ও জৈস-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের হামলার ঘটনায় কেঁপে উঠেছিল দেশ। হামলার ঘটনায় ১ জন সাধারণ নাগরিক ছাড়া ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল। ঘটনার সময় প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এল কে আদভানি-সহ ১০০ জনেরও বেশি লোক সংসদে উপস্থিত ছিলেন। ২০০১ সালের অনেক তথ্যই আমাদের কাছে অজানা। কি সেই তথ্য?
৫ জন বন্দুকধারী আততায়ীরা ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে
২০০১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ভয়াবহ একটা দিন। যেদিনে ৫ জন বন্দুকধারী আততায়ীরা ভারতীয় সংসদ ভবনে ঢুকে পড়ে। ঘটনায় আততায়ীরা সংসদের স্টিকার লাগানো গাড়িতে চড়ে এসেছিলেন। হামলার ঘটনার ঠিক ৪০ মিনিট আগে রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয়ই স্থগিত হয়েছিল। তবে ঘটনার সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালকৃষ্ণ আডবাণী ও স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হারীন পাঠক ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। কিন্তু সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর আসনে ছিলেন অটলবিহারী বাজপেয়ী। সোনিয়া গান্ধী ছিলেন বিরোধী দলনেত্রীর আসনে। ভয়াবহ ঘটনার সময়ের কিছুক্ষণ আগে ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন বাজপেয়ী ও সোনিয়া গান্ধী।
ভয়াবহ ঘটনায় কত জন মারা গিয়েছিল
আততায়ীরা গাড়ি নিয়ে সোজা সে সময়ের উপ-রাষ্ট্রপতি কৃষণ কান্তের কনভয়ের মধ্যে ঢুকে পড়েন। তারপর গাড়ি থেকে বেরিয়ে মুহুর্মুহু গুলি ছুঁড়তে থাকে। উপ-রাষ্ট্রপতির দেহরক্ষী ও নিরাপত্তা বাহিনীরা আততায়ীরা পালটা গুলি চালায়। শুরু হয় গুলির লড়াই। ঘটনার সময় তাড়াতাড়ি সংসদ চত্বরের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভয়াবহ ঘটনার সময় মহিলা কনস্টেবল কমলেশ কুমারী প্রথম আততায়ী স্কোয়াডটির আত্মগোপনের জায়গাটি খুঁজে বার করেন। তিনিই ঘটনায় প্রথম মারা যান। ঘটনায় সুইসাইড ভেস্ট পরিহিত এক জঙ্গিকে গুলি করা হলে ভেস্টটি বিস্ফোরিত হয়। অপর ৪ জন বন্দুকধারী আততায়ীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আততায়ীদের গুলিতে ৫ জন পুলিশকর্মী, ১ জন সংসদের নিরাপত্তা কর্মী ও একজন মালী নিহত হন। ঘটনায় আহত হয়েছিলেন মোট ১৮ জন।
কোন কোন সন্ত্রাসী ঘটনায় নিহত হয়েছিল
দিল্লি পুলিশ ঘটনা প্রসঙ্গে জানায়, ভয়াবহ ঘটনায় ৫ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়েছিল। তারা হল- হামজা, হায়দার ওরফে তুফায়েল, রানা, রণবিজয় এবং মহম্মদ। মাওলানা মাসুদ আজহার, গাজী বাবা ওরফে আবু জেহাদি এবং তারিক আহমেদও এই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে ভারতীয় আদালত জানিয়েছিল।
মূল পাণ্ডাদের মধ্যে কে কে ছিল
ঘটনায় মূল পাণ্ডা হল- মহম্মদ আফজাল গুরু, শওকত হুসেন গুরু (আফজাল গুরুর চাচাতো ভাই), এস এ আর গিলানি এবং শওকতের স্ত্রী আফসান গুরু। ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি তিহার জেলে আফজল গুরুকে ফাঁসি দেওয়া হয়।