কাশ্মীর থেকে ১০ হাজার সেনা সরানোর সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কোন গোপন কারণ! উঠছে বেশ কিছু তথ্য
গত বছর অগাস্ট মাসের আগে থেকেই কাশ্মীর জুড়ে বাড়তি সেনা মোতায়েন ঘিরে গোটা উপত্যকা থমথমে ছিল। গোটা দেশের জল্পনা কাটিয়ে দিল্লির বুক থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানান দেন যে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা হচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, তুলে নেওয়া হচ্ছে ৩৭০ ধারা। এমন অবস্থায় সেখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন ছিল সেনার। আর সেই কাশ্মীর থেকেই এবার ধীরে ধীরে সেনা সরাচ্ছে কেন্দ্র। নেপথ্যে কোন কারণ?
বুধবার রাতের নির্দেশ
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে অবিলম্বের ১০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে। বুধবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার। জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণা এবং সেখান থেকে ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী সেখানে পাঠানো হয়েছিল।
সেনা প্রত্যাহার ও কেন্দ্র
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক এর আগেও কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করেছে। গত ডিসেম্বরে ৭২ ইউনিট কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহারের পর মে মাসে ১০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এবারে যে পরিমাণ সেনা প্রত্যাহার হয়েছে তাতে ৪০ টি সিআরপিএফ কম্পানি, বাকি এসএসবি, বিএসএফ ও সিাইএসএফ থেকে ২০ টি করে কম্পানি সেনা প্রত্য়াহার করা হয়েছে।
ভূস্বর্গে কত শতাংশ সেনা পড়ে রইল?
ধাপে ধাপে ভূস্বর্গ থেকে সেনা সরিয়ে চলেছে কেন্দ্র। ফলে ২০১৯ সালের অগাস্ট নাগাদ ভূস্বর্গে যে পরিমাণ সেনা ছিল ২০২০ সালের অগাস্টের সঙ্গে তা তুলান করলে দেখা যাবে, কাশ্মীর এলাকায় মাত্র ১০ শতাংশ সেনা ট্রুপ আর পড়ে রয়েছে। গত একবছরে সেনা জওয়ানদের হাতে ১৫০ টির মতো দাগী জঙ্গি নিকেশ হয়েছে কাশ্মীরে। যা নিঃসন্দেহে বড় ঘটনা।
কেন গোপন কারণে সেনা সরানো হচ্ছে?
উল্লেখ্য, কাশ্মীর জুড়ে ক্রমেই নিরাপত্তা কড়া হচ্ছে। সেখানের নিরাপত্তা পরিস্থিতি যতই স্বাভাবিক হচ্ছে ততই ট্রুপ কমানো হচ্ছে কাশ্মীর থেকে। অন্যদিকে, আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতিও কাশ্মীরে অনেকটাই শুধরে গিয়েছে বলে সূত্রের দাবি। এমন অবস্থায় কাশ্মীর থেকে সেনা সরিয়ে ভূস্বর্গকে স্পষ্ট বার্তা দিল্লি দিতে চাইছে বলে খবর।