বিজেপির অন্দরমহলে সচিনকে নিয়ে দ্বিধার ছাইচাপা আগুন! কেন পাইলটকে চেয়েও ঘরে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির
বিজেপির অন্দরমহলে সচিনকে নিয়ে 'দ্বিধা-দ্বন্দ্ব'র ছাইচাপা আগুন! কেন পাইলটকে চেয়েও ঘরে নিতে পারছে না গেরুয়া শিবির
গোটা মঙ্গলবার জুড়ে দেশের রাজনীতি চরম নাটকীয়তা দেখেছে। রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রীকে পদ থেকে কংগ্রেস যেভাবে ছাঁটাই করেছে ,তাতে অনেকেই মনে করতে শুরু করে যে রাজস্থানে এবার গেরুয়া শিবির সুযোগের সদ্ব্যাবহার করতে পারে। কিন্তু সচিন পাইলটকে দলে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েও বিজেপি স্বস্তি পাচ্ছে না। বিজেপির অন্দরমহলে কী কী ঘটছে দেখে নেওয়া যাক।
সচিনকে আমন্ত্রণ
বিজেপি নেতৃত্বদের মধ্যে সবচেয়ে প্রথন খোলাখুলি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার বার্তা দেন মধ্যপ্রদেশের নেত্রী উমা ভারতী। এরপর রাজস্থান কংগ্রেস থেকে সচিনের পদ ছেঁটে দেওয়ার পরই রাজস্থান বিজেপিও সচিনকে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে আহ্বান জানায়। এরপরই রাজনীতির জল অনেক দূর গড়াতে শুরু করে।
কেন বিজেপি চেয়েও পারছে না
কংগ্রেসের তরফে সচিনকে প্রদেশ কংগ্রেস নেতা ও উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। যার স্পষ্ট ইঙ্গিত হাইকমান্ড অশোক গেহলট শিবিরকে গুরুত্ব দিচ্ছে। এরপরও সচিন জানিয়েছেন তিনি বিজেপিতে যোগ দেবেন না। আর রাজস্থানের তরুণ তুর্কী নেতার এমন মন্তব্যই বিজেপির অন্দরে দ্বিধা দ্বন্দ্ব তৈরি করেছে।
রাজে ফ্যাক্টর!
সচিন পাইলটের রাজনৈতিক 'ভালো বন্ধু' হিসাবে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার পরিচিতি অনেকদিনের। সেই সিন্ধিয়ার পিসি বসুন্ধরা রাজে। আর এই বসুন্ধরা রাজেই রাজস্থান বিজেপির একছত্র নেত্রী। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে, আদৌ সচিনের জন্য বিজেপি কোনও আলোচনার রাস্তা খোলা রাখবে কি না।
পাইলট-গেহলট দ্বন্দ্ব থেকে সরকার পতন পাখির চোখ!
এই মুহূর্তে রাজস্থানে পাইলট-গেহলট দ্বন্দ্বের মাঝে রাজস্থানে সরকার পতন হচ্ছে কি না, তার দিকে তাকিয়ে বিজেপি। যদি অশোক গেহলট সরকার পতনের দিকে যায়, তাহলে সচিন শিবির ও বিজেপি শিবিরের যোগাযোগ হবে কি না, সেই সম্ভবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না গেরুয়া শিবির।
রাজেকে টপকে রাজস্থানের রাজমসনদে সচিন কি পারবেন!
রাজস্থানের রাজ মসনদে বহুদিন ধরেই রাজ করেছেন সিন্ধিয়া রাজকন্যা বসুন্ধরা। এককালের মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা কতটা সচিনকে মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসতে দেখতে চান, তা নিয়েই বিজেপির মূল দ্বন্দ্ব। যদি ধরেও নেওয়া যায়, সরকার যদি বিজেপি গঠন করে, আর সেখানে যদি কংগ্রেস থেকে কোনএও বিদ্রোহী নেতা এসে মুখ্যমন্ত্রী চেয়ারে বসতে চান,তাহলে তা রাজের খুব একটা পছন্দ হবে না বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের। তবে ,এই সমস্ত দ্বিধা দ্বন্দ্বের ওপর রয়েছে বিজেপির দিল্লি হাইকমান্ড। তারাও আপাতত মরুরাজ্যের দিকে নজর রাখছে।
করোনা যোদ্ধাদের পাশে মমতার সরকার, আর্থিক সাহায্যের পাশাপাশি চাকরিও দেবে রাজ্য