আস্থা ভোট কী রাহুল বনাম মোদীর যুদ্ধে পরিণত হবে, চলছে জল্পনা
বিজেপি আস্থা ভোট ব্যবহার করতে পারে, ২০১৯ লোকসভাকে নরেন্দ্র মোদী বনাম রাহুল গান্ধী যুদ্ধে রূপান্তরিত করতে।
বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনই বিজেপি সরকার অনাস্থা ভোটে রাজি হয়ে গিয়েছে। অথচ গত বাজেট অধিবেশনে বিরোধী দলগুলি বারবার মোদী সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্থাব আনতে চেয়েছে। কিন্তু বারবারই তাদের আবেদন খারিজ হয়ে গিয়েছে। তাই এই সিদ্ধান্তে বিরোধী দলগুলি বেশ চমকেই গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলে জোর আলোচনা, হঠাত করে মোদী সরকার আস্থা ভোটে রাজি হল কেন? বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন রকমের তত্ত্ব উঠে আসছে। তার কোনওটা প্রশাসনিক, কোনওটা রাজনৈতিক। তবে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই যে মোদী সরকার এই পথে পা বাড়িয়েছে তাতে একমত সবাই।
সাধারণত সংসদের অধিবেশনের শুরুর দিকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তীব্র বাদানুবাদ হয়। যারফলে বিল নিয়ে আলোচনা ব্যহত হয়। অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলোচনায় বিরোধীদের সব আপত্তির বিষয়ই উঠে আসবে। একদিনেই সেসব নিয়ে আলোচনা হয়ে যাবে। ফলে সংসদের বাকি দিনগুলিতে সংসদ পরিচালনা সরকারের পক্ষে মসৃণতর হবে।
অধিবেশনের শুরুর আগে থেকেই বিরোধী দলগুলি আগের বাজেট অধিবেশনের কথা উল্লেখ করে অভিযোগ শানিয়েছে, মোদী সরকার অনাস্থা ভোট এড়িয়ে যাচ্ছে। তাতে মোদী সরকারের শক্তিশালী ভাবমূর্তী ক্ষুণ্ণ হয়েছে। লোকসভা ভোটের আগেই সেই সমালোচনার মুখে ছাই দিতে চায় বিজেপি।
অনাস্থা ভোট ২০১৯ লোকসভা ভোটের আগে গত ৪ বছরে বিজেপি সরকারের সাফল্য তুলে ধরার একটা মঞ্চও বটে। সেই সঙ্গে বিরোধী জোটের ফাঁকফোঁকরও উন্মুক্ত হয়ে যাবে। তাছাড়া অনাস্থা ভোট বিজেপিকে নতুন জোট শরিকের সন্ধানও দিতে পারে। বিজেপি নিশানা করছে বিজেডি, এআইএডিএমকে, পিএমকে-র মতো দলগুলিকে।
তবে বিজেপির সবচেয়ে বড় উদ্দেশ্য মনে করা হচ্ছে ২০১৯-এর ভোটকে রাহুল বনাম মোদীতে রূপান্তরিত করা। বিজেপির ভোট চুম্বক এখনও সেই মোদীই। ব্যক্তি রাহুলের বিরুদ্ধে ব্যক্তি মোদী - এইভাবেই ২০১৯ লোকসভায় নামতে পারে বিজেপি বলে মনে করছেন অনেক রাজনৈতিক বিশ্লেষকই। গত সপ্তাহ থেকেই স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী-সহ বিজেপি নেতাদের মন্তব্য থেকেই এই জল্পনা ছড়িয়েছে। অনাস্থা ভোটের দিন এই প্রবণতা আরও প্রকট হবে বলে মনে করছেন তারা। ধ্যে রাহুলকেই আক্রমণের প্রধান নিশানা