For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

ফেসবুকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তা কেন গোঁত্তা খেল দশ দিনে?

  • |
Google Oneindia Bengali News

অরবিন্দ কেজরিওয়াল
দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অরবিন্দ কেজরিওয়াল নায়ক হয়েছিলেন। সেই তিনিই গত কয়েকদিনে খলনায়ক হয়ে উঠেছেন।

ফেসবুকে জনপ্রিয়তা কমল হু-হু করে

ফেসবুকে গুণমুগ্ধদের সংখ্যা যদি জনপ্রিয়তার মাপকাঠি হয়, তা হলে বলতে হয়, গত দশ দিনে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জনপ্রিয়তা গোঁত্তা খেয়েছ। নতুন 'লাইক' উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গিয়েছে। ১৩ জানুয়ারি ফেসবুকে তাঁর প্রোফাইলে নতুন 'লাইক' ছিল ৬৮ হাজার। ২০ জানুয়ারি তা কমে হয়েছে ৩০ হাজার। আর ২১ জানুয়ারি আরও কমে দাঁড়াল ৭৬০০। হঠাৎ এই প্রবণতার কারণ কী, তা খতিয়ে দেখা জরুরি।

ধরনা-পরবর্তী পর্যায়ে অবস্থা আর আগের মতো নয়

গত দশ দিন বা এক সপ্তাহে ওঁর জনপ্রিয়তা ধুলোয় মিশে গিয়েছে। তিনজন পুলিশকর্মীকে কেন্দ্র ছুটিতে পাঠানোয় অরবিন্দ কেজরিওয়াল হয়তো ভাবছেন, তিনি জিতে গেলেন। কড়া সত্যিটা হল, ক্ষমতায় আসার ২৬ দিন পর থেকেই সাধারণ মানুষের কাছে এখন তিনি দানব! ঠান্ডা বাংলোয় বসে থাকা বাবু হোন বা রাস্তায় চলাফেরা করা সাধারণ মহিলা, কেউ তাঁর কাজের ধরন পছন্দ করছেন না।

ঔদ্ধত্য ও অসংবেদনশীলতা

যে আমআদমির ভরসায় তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন, সেই তাদের প্রতি উদ্ধত ও অসংবেদনশীল আচরণ করে এখন অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘৃণিত। লক্ষণীয়, ক্ষমতায় আসার আগে ওঁর মুখে জল এবং বিদ্যুতের কথা শোনা গিয়েছিল। দিল্লিতে মেয়েদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি কিছু বলেননি। পরে কী দেখা গেল? তাঁর মন্ত্রী সোমনাথ ভারতী যখন প্যাঁচে পড়লেন, তখন কেজরিওয়াল হঠাৎ মেয়েদের নিরাপত্তার বিষয়টি ইস্যু করলেন। অথচ রেল ভবনের সামনে ধরনাস্থলে গতকাল এক মহিলা সাংবাদিককে লাঞ্ছনা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সমর্থকরা। এটা নিয়ে তিনি রা কাড়েননি।

দায়িত্ব নেই, শুধু বাগাড়ম্বর, আমআদমি পার্টির অকর্মণ্যতা প্রমাণিত

সোমনাথ ভারতীর কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ থেকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দিয়ে কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তাই দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে তিনি কার্যত যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। প্রশ্ন হল, দিল্লিতে অপরাধমূলক কাজকর্ম ঠেকাতে তিনি নিজে কোনও পরিকল্পনা নিয়েছেন কি? প্রশাসনে আমআদমি পার্টির ব্যর্থতা তাঁকে ভাবিয়ে তুলেছে। তাই দায় এড়াতে হঠাৎ রাস্তায় নেমে আন্দোলন। ফেসবুকে ওঁর ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা সেটাই প্রমাণ করে।

ভোটে লড়ার আগে কেজরিওয়াল কি জানতেন না, কে দিল্লি পুলিশকে নিয়ন্ত্রণ করে?

দিল্লি পুলিশের ওপর নিয়ন্ত্রণ দাবি করে আমআদমি পার্টি হঠাৎ বিদ্রোহ করল। ভোটে লড়াই করার আগে কেজরিওয়াল কি জানতেন না, দিল্লি পুলিশকে কে নিয়ন্ত্রণ করে? বিরোধী নেতা থাকার সময় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে তিনি প্রায়ই তৎকালীন দিল্লি সরকারকে আক্রমণ করতেন। বলতেন, সরকারের ব্যর্থতার জন্য় দিল্লিতে মেয়েরা নিরাপদ নন। এখন তিনি বলছেন, সরকার কিছু করতে পারছে না, কারণ পুলিশ তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। এ কথা ক্ষমতায় আসার আগে আপনার মনে হয়নি? এটা দ্বৈত চরিত্রের একটা নির্লজ্জ প্রদর্শন। ক্ষমতালোভী কেজরিওয়াল ফেসবুকে তাই সঠিক কারণেই জনপ্রিয়তা হারিয়েছেন।

দেশের সম্মান ও নিরাপত্তাকে বলিতে চড়ানো ক্ষমাযোগ্য নয়

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সবচেয়ে বড় অপরাধ হল যে, তিনি দেশের ভাবমূর্তি, নিরাপত্তাকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। আফ্রিকান মহিলাদের হেনস্থা করা এবং তার জেরে আফ্রিকান কূটনীতিকদের হইচই স্পষ্টত বিশ্বের সামনে ভারতের ভাবমূর্তিতে কালি ছিটিয়ে দিয়েছে।

ভারত যখন পরাক্রমশালী চীনের সঙ্গে আফ্রিকায় হাড্ডাহাড্ডি পাল্লা দিচ্ছে আর্থিক লাভ তুলতে, তখন ওঁর এই আচরণে বিদেশ নীতিতে খারাপ প্রভাব পড়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। শুধু তাই নয়, খবরের শিরোনামে থাকতে গিয়ে তিনি সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান ভেস্তে দেবেন বলে যে হুমকি দিয়েছেন, ভারতের মানুষ তা ভালোভাবে নেননি। এটা গোটা দেশকে অপমানের শামিল। অরবিন্দ কেজরিওয়াল নিশ্চয় দেশের থেকে বড় নন। ফেসবুকে ওঁর ক্রমহ্রাসমান জনপ্রিয়তা এটাই প্রমাণ করেছে।

English summary
Why Arvind Kejriwal's FB popularity has faded in 10 days
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X