শান্তির লাদাখে হিংসার ছায়া, ধর্মান্তকরণকেই দুষছেন বৌদ্ধরা
লাদাখে ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে ভিতরে ভিতরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
লাদাখে মুসলমান ও বৌদ্ধদের মধ্যে সংঘাত ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। এই ঘটনা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে জানাতে পিটিশন দিতে চলেছে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। লাদাখে এক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মহিলাকে ধর্ম বদলে বিয়ে করেছেন এক শিয়া মুসলমান। ফলে লাদাখে ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া চলছে বলে ভিতরে ভিতরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।
[আরও পড়ুন: এই ঘটনার জেরে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনায় তেতে উঠছে স্বপ্নসুন্দর লাদাখ]
লাদাখের জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ বৌদ্ধ ও ৪৯ শতাংশ মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। বৌদ্ধদের অভিযোগ, বারবার সরকারকে অভিযোগ করার পরও ধর্মান্তকরণের প্রক্রিয়া বন্ধ তো হয়নি, উল্টে যত দিন যাচ্ছে, তত গতি পাচ্ছে। সরকার সব জেনেও চোখ-কান বুজে রয়েছে।
২০০৩ সাল থেকে অন্তত ৪৫ জন বৌদ্ধ যুবতীকে বিয়ে করে ধর্মান্তকরণ করা হয়েছে। ষড়যন্ত্র করে এই ঘটনা ঘটানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বৌদ্ধরা। এদিকে মুসলমানদের অভিযোগ, এই ঘটনা শুধু একতরফা ঘটছে না। বহু মুসলমানও ধর্মান্তকরণ করে বৌদ্ধ হয়েছে।
এই মুহূর্তে লাদাখের পরিস্থিতি উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে রয়েছে। ১৯৮৯ সালে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, সেই পরিস্থিতি যাতে লাদাখে আর তৈরি না হয় সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। সেবছর বৌদ্ধ-মুসলিম সংঘর্ষে লাদাখ উত্তপ্ত হয়েছিল। লাদাখের বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন মুসলমানদের বয়কট করে। পরে ১৯৯২ সালে তা তুলে নেওয়া হয়।
বৌদ্ধ অ্যাসোসিয়েশন এবারও একই অভিযোগ এনেছে। এবারও সরকার তাদের অভিযোগ না শুনে কান বন্ধ করে রয়েছে। সেজন্যই শেষ ভরসা হিসাবে প্রধানমন্ত্রী দ্বারস্থ হতে চাইছেন তাঁরা। একটাই প্রার্থনা, এভাবে ধর্মান্তকরণ বন্ধ হোক।