পাকিস্তান নিয়ে বেশ ‘গদগদ’ ট্রাম্প! হঠাৎ ‘নিশ্চুপ’ মোতেরায় মোদীরও তখন মুখভার
পাকিস্তান নিয়ে বেশ ‘গদগদ’ ট্রাম্প! হঠাৎ ‘নিশ্চুপ’ মোতেরায় মোদীরও তখন মুখভার
সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেও, পাকিস্তানকে নিয়ে বেশ গদগদই শোনাল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে। ভারতের মাটিতে দাঁড়িয়ে যখন পাকিস্তানের প্রশংসা শোনা যাচ্ছে ট্রাম্পের মুখে, তখন গোটা স্টেডিয়াম মুহূর্তে চুপ। প্রধানমন্ত্রী মোদীর মুখটাও পাংশু। 'বন্ধু' ট্রাম্পের মুখে প্রতিবেশী শত্রুর প্রশংসা শুনতে কার আর ভালো লাগে!
‘নমস্তে ট্রাম্প’ শো ‘সাইলেন্ট’ মোতেরা
আমেদাবাদের মোতেরা স্টেডিয়াম তখন ‘নমস্তে ট্রাম্প' শো চলছে। মোদীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তিনি। ভারতের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে উঠেছেন, তখন গোটা স্টেডিয়াম করতালি দিয়ে অভিবাদন করেছে ট্রাম্পকে। কিন্তু পরক্ষমেই পাকিস্তানের কথা উঠতেই ‘সাইলেন্ট' গোটা স্টেডিয়াম।
পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারির বদলে প্রশংসা!
পুলওয়ামার এক বছর পরেও ক্ষত শুকায়নি এখনও। প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনও উন্নতিই হয়নি। এতদিন ভারতের অবস্থানকে প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমর্থন করে এসেছেন ট্রাম্প। স্বাভাবিকভাবেই ট্রাম্প ভারত সফরে এসে পাকিস্তানকে কড়া হুঁশিয়ারিই দিয়ে যাবে, এমনটা মনে হয়েছিল, কিন্তু ঘটল বিপরীত।
পাকিস্তান নিয়ে সুর নরম ট্রাম্পের
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ভারত-আমেরিকা উভয়েই সন্ত্রাসবাদ উৎখাত করতে বদ্ধপরিকর। তাই দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করছে। পাকিস্তান নিয়ে সুর নরম করে তিনি বলেন, হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নিয়ে সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে সদর্থক আলোচনা চালাচ্ছি। পাক সীমান্ত জঙ্গি ক্রিয়াকলাপ বন্ধ করতে ধারাবাহিকভাবে আলোচনায় জোর দেওয়া হয়েছে। পাকিস্তান প্রাথমিকভাবে সফল হয়েছে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায়।
|
পাকিস্তানের সঙ্গে হোয়াইট হাউসের সম্পর্ক
শুধু এখানেই থেমে থাকেননি ট্রাম্প। তিনি বলেছেন, হোয়াইট হাউসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক পাকিস্তানেরও। পাকিস্তানের পাশাপাশি তিনি দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলিকেও স্থায়িত্ব, শান্তি ও একতা ফিরিয়ে আনার বার্তা দেন এদিন। তিনি ব্যাখ্যা করেন, সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলা করতে তিনি সেনাবাহিনীকে পূর্ণ ক্ষমতা দিয়েছিলেন বলেও ব্যাখ্যা করেন।
|
পুলওয়ামার পর ভারত-পাক সম্পর্ক তলানিতে
উল্লেখ্য, পুলওয়ামার পর থেকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক কার্যত তলানিতে পৌঁছে গিয়েছে। ভারত সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সন্ত্রাসবাদ থেকে হাত সম্পূর্ণরূপে গুটিয়ে না নেওয়া পর্যন্ত কোনও আলোচনায় বসবে না। এই মর্মে আন্তর্জাতিকস্তরেও পাকিস্তানের উপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও নিষেধাজ্ঞা জারি করে। কিন্তু এদিন ট্রাম্পের মুখে পাকিস্তানের প্রশংসা শুনে মোদীর মুখ ভার।