কে হতে পারেন পরবর্তী কংগ্রেস সভাপতি? দৌড়ে এগিয়ে কারা?
আজই সেই হাই ভোল্টেজ বৈঠক কংগ্রেসের। যেখানে নির্বাচিত করা হতে পারে দলের পরবর্তী সভাপতি। রাহুল গান্ধীর পর কে?
আজই সেই হাই ভোল্টেজ বৈঠক কংগ্রেসের। যেখানে নির্বাচিত করা হতে পারে দলের পরবর্তী সভাপতি। রাহুল গান্ধীর পর কে? এই নিয়ে দলের অন্দরেই নবীন প্রবীণের লড়াই তুঙ্গে। যদিও গান্ধী পরিবারের কেউ যে সভাপতি পদে বসছেন না সেকথা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী। রাহুলের পরবর্তী হিসেবে যখন প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে ওই পদে বসানোর কথা উঠেছিল, তখনই রাহুল সপাটে সেটা না করে দিয়ে বলেছিলেন, গান্ধী পরিবারের কেউ আর ওই পদে বসবেন না। কে হবেন সভাপতি সেটা দলের নেতাদেরই বেছে নিতে হবে। তিনি এই বিষয়ে কোনও রকম দিক নির্দেশ করতে পারবেন না।
লোকসভা ভোটের পর প্রায় তিন মাসে কেটে গিয়েছে। তারপরেও সভাপতি সুনিশ্চিত করতে পারেননি দলের নেতারা। নেতৃত্বহীন পরিস্থিতিতে দলের নেতারাও বেলাগাম হয়ে গিয়েছেন। দ্বিধাবিভক্ত হয়েপড়েছেন তাঁরা। ৩৭০ ধারা বিলোপ নিয়ে কংগ্রেসের অন্দরেই যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তা উদ্বেগ বাড়িয়েছে কংগ্রেসে। সেকারণেই দলের শৃঙ্খলা রক্ষা করতে তড়িঘড়ি এই সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া শেষ করতে চাইছে হাইকমান্ড।
কিন্তু কে হবে সভাপতি? এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন একাধিক কংগ্রেস নেতা। বেশিরভাগই বর্ষীয়ান। যে কয়েকটি নাম সম্ভাব্য হিসেবে ঘোরাফেরা করছে তারমধ্যে রয়েছে মুকুল ওয়াসনিক, মল্লিকার্জুন খাড়গে, কুমারী শৈলজা এবং কেসি বেনুগোপাল। মহারাষ্ট্রের দলিত নেতা মুকুল ওয়াসনিক গত ১৮ বছর ধরে এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক পদে রয়েছেন এবং গান্ধী পরিবারের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই নেতা। দ্বিতীয় জন মল্লিকার্জুন খাড়গে। যিনি মোদী ওয়ান সরকারের আমলে লোকসভায় অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে বিরোধী দলনেতার পদ সামলেছিলেন। দক্ষিণ ভারতের এই নেতাকে গান্ধী পরিবার অনেকটা অভিভাবকের মতোই দেখে।
এর পরেই আসছে কুমারী শৈলজার নাম। হরিয়ানার দলিত নেত্রী কুমারী শৈলজা এখন রাজ্যসভার সদস্য। লোকসভায় জিতে আসতে পারেননি। তবে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ তিনি। কেসি বেনুগোপাল কেরলের কংগ্রেস নেতা এবং রাহুলে অত্যন্ত আস্থাভাজন। ওয়ানাড়ে রাহুলের হয়ে পুরো কাজটাই তিনি সামলেছিলেন। এছাড়াও পি চিদম্বরম, আহমেদ প্যাটেল, গুলাম নবি আজাদের নামও উঠে আসছে সভাপতি পদের জন্য।