বিরোধীদের 'মুখ' কে! বিহারে আসন ভাগাভাগি নিয়েও লড়াই কম নেই মহাজোটে
বিরোধীদের মুখ্যমন্ত্রী পদে মুখ কে! আসন ভাগাভাগি নিয়েও লড়াই কম নেই মহাজোটেও
বিহারে বিজেপি-জেডিএই তথা এনডিএ জোট যখন আসন ভাগাভাগি নিয়ে সমস্যায় আছে, তখন সংকটহীন নয় বিরোধী মহাজোটও। বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে বিরোধী শিবিরে প্রধান সমস্যা মুখ্যমন্ত্রী পদের মুখ নিয়ে। মহাজোট জিতলে কে হবেন মুখ্যমন্ত্রী, নীতীশকে চ্যালেঞ্জ জানানোর মতো মুখ কে। তা নিয়ে ভাবনা কংগ্রেস শিবিরে।
কংগ্রেস-আরজেডির মতপার্থক্য
যদিও বিহারে মহাজোটের বড় শরিক আরজেডি মুখ্যমন্ত্রী পদে মুখ হিসেবে চাইছে তেজস্বী যাদবকে। কংগ্রেস তা এড়িয়ে গিয়ে ভোটের ফল বের হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতেই রাজি। মানুষ কাকে জয়ী করেন, তা দেখেই পরবর্তী ভাবনা-চিন্তা করতে চাইছে কংগ্রেস। কিন্তু আরজেডি তেজস্বীকেই সামনে রেখে এগনোর পক্ষে।
হাম ও আরএলএসপির দাবি
অন্যদিকে মহাজোটের আর এক শরিক পার্টি হাম বা এইচএএম সুপ্রিমো জিতেন রাম মাজি আবার দাবি করে বসেছেন ৩০টি আসনের। আর আরএলএসপির উপেন্দ্র কুশওয়ার লদাবি ৫০ আসন। অর্থাৎ এনডিএর মতো ইউপিএ-তেও আসনরফা নিয়ে সমস্যা তীব্র হতে চলেছে। মূল তিন পার্টি আরজেডি, কংগ্রেস ও হামের মধ্যে আসন রফা নিয়ে গোল বাঁধবে।
মহাজোটের পক্ষে রায় ২০১৫-য়
অবশ্যই এই আসন রফার আগে বিবেচিত হবে বিহার বিধানসভায় দলের বর্তমান শক্তি। সেই নিরিখে বলাই যায় বর্তমান ২৪৩ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় সর্ববৃহৎ পার্টি হল আরজেডি। তারা ২০১৫ সালে একাই ৮০টি আসনে জয়ী হয়েছিল। আর ভোটে মহাজোটের পক্ষে লড়াই করে জেডিইউ পেয়েছিল ৭১টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছিল ২৭টি আসন।
মহাজোট ছেড়ে বিজেপির জোটে নীতীশ
বিপরীতে বিজেপি জিতেছিল ৫৩টি আসনে। সিপিআইএমএল পেয়েছিল তিনটি আসন। এলজেপি ও আরএলএসপি ২টি করে এবং হাম ১টি আসনে জয়লাভ করে। তবে পরবর্তী সময়ে নীতীশ কুমার মহাজোট ছেড়ে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত ধরেন। বর্তমানে বিজেপিজেডিইউ জোট সরকার চলছে বিহারে।
'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লঙ্কিনী রাক্ষসীর মতো', বিতর্কের ঝড় তুললেন বিজেপি বিধায়ক