কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ স্থগিত করল 'হু', ঘাতটি মেটানোর নির্দেশ ভারত বায়োটেককে
কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ স্থগিত করল 'হু', ঘাতটি মেটানোর নির্দেশ ভারত বায়োটেককে
গত দুই বছর ধরে বিশ্ব জুড়ে নিজের দাদাগিরি দেখিয়ে চলেছে কোভিড-১৯। প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় এখনও পর্যন্ত একে একে আছড়ে পড়েছে করোনার এই তিন ঢেউ। আবার চলতি বছরের মাঝামাঝি করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের প্রমাদ গুনছেন বিশেষজ্ঞরা। আর এই মারণ ভাইরাসকে ঠেকেতে টিকাকরণই প্রধান হাতিয়ার বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, সম্মিলিত জাতিপুঞ্জের মত বিশ্বের শীর্ষ সংগঠনগুলি। আর তাই সার্বিক টিকাকরণের ক্ষেত্রে কোনও রকম খামতি বরদাস্ত না করার নীতি নিয়েছে হু। সেক্ষেত্রে এবার ভারতে তৈরি প্রথম করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের রপ্তানি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল 'হু'।
ত্রুটিপূর্ণ টিকা
করোনা প্রতিরোধ করতে টিকা নেওয়া বাধ্যতামূলক। কোভিশিল্ডের পাশাপাশি কোভ্যাক্সিনও দিয়েছেন অনেকে। এবার সরবরাহ স্থগিত রাখার কথা বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। ভারত বায়োটেক দাঁড়া তৈরি এই করোনা টিকা তৈরীর ক্ষেত্রে কিছু ভুল ত্রুটি ধরা পড়েছে। সেগুলি ঠিক করার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, মে দেশগুলো ভ্যাকসিন পেয়েছে তাদের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। কিন্তু কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এখনো স্পষ্ট করা হয়নি।
কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ স্থগিত
ভারত বায়োটেক দ্বারা উৎপাদিত কোভ্যাক্সিনের সরবরাহ স্থগিত করার বিষয়টি নিশ্চিত করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পাশাপাশি যে দেশগুলো এই টিকা গ্রহণ করেছে তাদের যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমানে ইউএন প্রকিওরমেন্টে এজেন্সির কাছে এই কোভ্যাক্সিন সাপ্লাই করা হয় না বলে জানা গিয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য আশ্বস্ত করেছে যে এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকরী ও সুরক্ষার দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। সব মিলিয়ে নিরাপদ এই ভ্যাকসিন।
কতটা নিরাপদ কোভ্যাক্সিন?
হায়দ্রাবাদের ভারত বায়োটেক এক বিবৃতিতে বলেছে, কোভ্যাক্সিনের কার্যকারিতা এবং নিরাপত্তার উপর কোন প্রশ্ন নেই। এটি নিরাপদ। এখনো পর্যন্ত যারা যারা কোভ্যাকসিন নিয়েছেন, তাদের সার্টিফিকেট বৈধ। ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, কো-ভ্যাকসিনের গুনমান সঠিক রয়েছে। একাধিক সমস্যার জন্য খুব বেশি উন্নত মানের কিছু করা না গেলেও, টিকাটি নিরাপদ। টিকার সাসপেনশনের কারণে টিকার রফতানির ক্ষেত্রেও বিঘ্ন ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ভারত বায়োটেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভালো মানের টিকার উৎপাদন করা। আগে যে ঘাটতি গুলি ছিল সেগুলি সংশোধন করে উন্নত মানের টিকা তৈরি করার।
বাজারে কোন কোন টিকা?
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে করোনা ঠেকানোর জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আলাদা আলাদা টিকাদান করা হচ্ছে মানুষের দেহে। তারমধ্যে ভারতেও চালু রয়েছে একাধিক টিকা। করোনার প্রথম টিকা হিসেবে বাজারে এসেছিল ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন এবং সিরাম ইনস্টিটিউটের 'কোভিশিল্ড'। নির্দিষ্ট দিন অন্তর এই দুটি টিকার দুটি করে ডোজ নিতে হয় যে কোনও ব্যক্তিকে। কিন্তু এরপর ভারতের ছাড়পত্র পেয়েছে রাশিয়ার করোনা টিকা 'স্পুটনিক ভি'। এই টিকা একবারেই কাজ করে দেহে। অবশেষে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী কিশোর কিশোরীদের জন্য কর্বভ্যাক্স এবং নোভাভ্যাক্স টিকা অনুমোদন পেয়েছে। তবে এই ঘটনার পর কিছুটা হলেও অনিশ্চিত হয়ে গেল কোভ্যাক্সিনের ভবিষ্যৎ।
চরম সঙ্কট শ্রীলঙ্কায়, চালের দাম ২২০, গুঁড়ো দুধ বিকোচ্ছে ১৯০০ টাকা প্রতি কেজিতে