পেটিএম কর্তাকে ব্ল্যাকমেল করা সোনিয়া ধাওয়ানের উত্থান চমকে দেওয়ার মতো
কে এই সোনিয়া ধাওয়ান যার পেটিএমে উত্থান হয়েছে উল্কার মতো। জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
ডিজিটাল ওয়ালেট সংস্থা পেটিএম-এর প্রতিষ্ঠাতা বিজয় শেখর শর্মাকে ব্ল্যাকমেল করার জন্য সংস্থার কমিউনিকেশন বিভাগের প্রধান তথা বিজয়ের সহকারি সোনিয়া ধাওয়ান সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই সোনিয়াই বিজয় শেখরের মোবাইল, ল্যাপটপ থেকে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেন। তারপরে স্বামী রূপক জৈন ও সংস্থার আর এক কর্মী দেবেন্দ্র কুমারকে সঙ্গে নিয়ে ছক কষেন ব্ল্যাকমেলের। মোট ২০ কোটি টাকা চাওয়া হয়। তবে বিজয় শেখর পুলিশে নির্দিষ্ট অভিযোগ করলে পুলিশ এই তিনজনকে গ্রেফতার করে। এখন আগ্রহ তৈরি হয়েছে, কে এই সোনিয়া ধাওয়ান যার পেটিএমে উত্থান হয়েছে উল্কার মতো। জেনে নেওয়া যাক একনজরে।
সোনিয়ার উত্থান
সোনিরা প্রোফাইল ঘাঁটলে দেখা যায়, ২০১০ সালে বিজয় শেখরের সেক্রেটারি হিসাবে বার্ষিক ৭ লক্ষ টাকা বেতনে সোনিয়া পেটিএমে যোগ দেন। পরে ধীরে ধীরে কর্পোরেট কমিউনিকেশনস তথা পাবলিক রিলেশনসের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে ওঠেন। পেটিএমে যোগ দেওয়ার আগে সোনিয়া টাইমস ইন্টারনেট ও কের্ন ইন্ডিয়ায় কাজ করেছেন। বেতনের পাশাপাশি সোনিয়ার পেটিএমে ১০ কোটি টাকার ইক্যুটি শেয়ার রয়েছে। এছাড়াও কোম্পানির কিছু স্টক তাঁর নামে রয়েছে।
সোনিয়ার পাল্টা দাবি
সোনিয়ার আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেলকেও কেউ একজন ফোন করে টাকা চান ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন। তবে শোনা গিয়েছে, নয়ডায় ৪ কোটির একটি বাড়ি কেনার জন্য বিজয় শেখরকে বলেছিলেন সোনিয়া। তাতে তিনি রাজি না হওয়ায় ব্ল্যাকমেল পর্ব শুরু হয়। এমনকী পুলিশেও সোনিয়া ও তাঁর স্বামী অভিযোগ দায়ের করেছেন।
রোহিতে দিয়ে ফোন
রোহিত নামে এক ব্যক্তিকে দিয়ে পেটিএম কর্তা বিজয়কে ফোন করানো হয় বলে অভিযোগ। এখন এই বিজয়ের খোঁজে হন্যে হয়ে ঘুরছে পুলিশ। জানা গিয়েছে সে কলকাতার বাসিন্দা। ফলে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে নয়ডা পুলিশ। এদিকে আদালত তিন অভিযুক্তকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।v