কে প্রকৃত কাশ্মীরি? সাত দশকের নিয়ম বদলে নয়া নির্দেশিকা জারি কেন্দ্রের
গত বছরের ৫ অগাস্ট জম্মু ও কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা তুলে নিয়েছিল কেন্দ্র। সেই সঙ্গে গোটা রাজ্য ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলও গঠন করা হয়। সেই ঘটনারপ্রায় আট মাস এবার কারা আসলে কাশ্মীরের নাগরিক, তা নির্ধারণ করার জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় সরকার।
কী বলছে নয়া নির্দেশিকা?
নয়া নির্দেশিকায় অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি যিনি কমপক্ষে ১৫ বছর জম্মু ও কাশ্মীরে বাস করেছেন অথবা কমপক্ষে সাত বছর সেখানে পড়াশুনা করেছেন এবং জম্মু ও কাশ্মীরের কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে দশম/দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা দিয়েছেন, তিনিই কাশ্মীরি।
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগে কাশ্মীরের নাগরিকতা
৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের আগে কাশ্মীরের নাগরিকতা প্রসঙ্গে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিত কাশ্মীরের আইনসভা বা বিধানসভা। এর উপর ভিত্তি করেই সেখানকার রাজ্য সরকারের চাকরি এবং জমি কেনার অধিকার শুধু কাশ্মীরিদেরই থাকত।
বদল সাত দশকের আইন
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সরকারি কর্মী, অল ইন্ডিয়া সার্ভিস কর্মী, পাবলিক সার্ভিস ইউনিয়ন কর্মী, ব্যাঙ্ক, সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির কর্মী বা যেকোনও সরকারি দফতরের কর্মী যারা দশ বছর বা তার অধিক সময় কাশ্মীরে কাজ করছেন তারা এবং তাদের সন্তানরাও কাশ্মীরের নাগরিক।
নাগরিকতার আরও শর্ত
এছাড়া যেসব ব্যক্তি বর্তমানে কাশ্মীরের বাইরে থাকেন অথচ তাদের বাবা-মা নাগরিকত্বর শর্তগুলি পূর্ণ করেছেন, তারাও কাশ্মীরের নাগরিক বলে বিবেচিত হবেন। প্রসঙ্গত, অক্টোবর মাসে রাজ্য ভাগের পর জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা থাকলেও নির্বাচন না হওয়ায় সেখানে কোনও বিধানসভা গঠন করা হয়নি।