দিল্লি তাণ্ডবের দায় কার! লালকেল্লার পর আন্দোলনরত কৃষকদের পরবর্তী গন্তব্য কোথায়?
দিল্লিতে ধুন্ধুমার। লালকেল্লায় পৌঁছে পতাকা তুলল বিক্ষোভ প্রদর্শন করছেন কৃষকরা। আন্দোলনরত কৃষকরা রাজপথ, রাষ্ট্রপতি ভবন ও বিজয়চকের দিকে এগোতে পারে। দিল্লি পুলিশের কাছে এমনই খবর রয়েছে বলে সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে। কৃষকদের ট্রাক্টর ব়্যালি রীতিমতো তাণ্ডবের আকার ধারণ করেছে রাজধানীতে। ইন্দ্রপ্রস্থ মেট্রো স্টেশনসহ দিল্লি মেট্রোর গ্রিন লাইনের সমস্ত স্টেশনের প্রবেশ ও বাহিরপথ সাময়িবকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত যা বলেন
এদিকে এবিষয়ে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত বলেন, 'আমরা জানি কারা বিঘ্ন ঘটানোর চেষ্টা করছেন। তাঁদের চিহ্নিত করা হয়েছে। কিছু রাজনৈতিক দলের কর্মীরা আন্দোলনকে বিঘ্নিত করার চেষ্টা করছেন।' ট্রাক্টর ব়্যালির একাংশ যে তাণ্ডবের আকার ধারণ করেছে, সেই সম্পর্ক সারা ভারত কৃষক সভার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা বলেন, 'এই ধরনের কাজ সমাজবিরোধীদের। এরা কৃষকদের শত্রু। সরকারের দালালি করছেন।'
দিল্লির বুকে ট্রাক্টর মিছিলে নামে কৃষক সংগঠনগুলি
সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করে আগেই জানিয়েছিল, আজ অর্থাৎ ২৬ জানুয়ারি রাজধানীর বুকে কোনওরকম ট্রাক্টর মিছিল করা যাবে না৷ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে দিল্লি পুলিশকেই৷ অন্যদিকে কৃষকদের দাবি ছিল আজ ট্রাক্টর মিছিলের জন্য অনুমতি মিলেছে দিল্লি পুলিশের তরফে৷ সেইমতোই আজ দিল্লির বুকে ট্রাক্টর মিছিলে নামে কৃষক সংগঠনগুলি৷
কৃষকদের তাণ্ডবে ধুন্ধুমার বাঁধে দিল্লিতে
ফলত আঁটসাট করা হয়েছিল রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানের বিশেষ করে ইনকাম ট্যাক্স অফিস, যমুনা ব্রিজ ও অন্যান্য এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা৷ তবে শেষ পর্যন্ত কৃষকদের তাণ্ডবে ধুন্ধুমার বাঁধে দিল্লিতে। কৃষক মিছিলকে কেন্দ্র করে দিল্লি পুলিশ বিভিন্ন সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়েছে৷ শহরের সমস্ত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও পাওয়ার গ্রিড কেন্দ্রগলিতে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে৷
দিল্লিজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি
দিল্লিজুড়ে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি৷ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের তরফে শেষ প্রস্তাবে বলা হয়েছিল, এক থেকে দেড় বছরের জন্য স্থগিত রাখা হবে তিন নয়া কৃষি আইন। তবে তা খারিজ করে দিয়ে আইন সম্পূর্ণ বাতিলের দাবিতেই অনড় রয়েছেন কৃষকরা। কেন্দ্রের সঙ্গে একাদশ দফার বৈঠকেও এই সমস্যার জট খোলেনি।