পাঞ্জাব, হরিয়ানা যখন বিদ্রোহী, তখন কৃষিবিল নিয়ে দোলাচলে যোগীর রাজ্যের কৃষকরা, কী ভাবছেন তাঁরা
পাঞ্জাব, হরিয়ানা যখন বিদ্রোহী, তখন কৃষি বিল নিয়ে দোলাচলে যোগীর রাজ্যের কৃষকরা, কী ভাবছেন তাঁরা
মোদী সরকারের কৃষি বিল নিয়ে যখন পাঞ্জাব, হরিয়ানার কৃষকরা তুমুল বিরোধিতায় শুরু করেছেন তখন উত্তর প্রদেশের কৃষকরা এখনও ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা কোনও পথে যাবেন। বিরোধিতা না সমর্থন কোন পথে বেছে নেবেন তাঁরা তাই নিয়ে দোলাচলে রয়েছে উত্তর প্রদেশের কৃষকরা। কারণ তাঁদের কাছে সরকারি মাণ্ডিতে ফসল বিক্রির সঙ্গে খোলা বাজারে ফসল বিক্রির মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। দুক্ষেত্রেই অধিকাংশ সময়ে প্রতারণার শিকার হয়ে থাকেন।
কৃষি বিলের বিরোধিতা
বাদল অধিবেশনের শুরুতেই কৃষি বিল নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল সাংসদ। মোদী সরকারের কৃষি বিলের বিরোধিতায় তুলকালাম হয়েছে রাজ্যসভায়। এমনকী মোদী সরকারের হাত ছেড়েছে শিরোমণি অকালিদল। মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন শিরোমণি অকালিদলের নেত্রী হরসিমরত কউর।
বিরোধিতায় কৃষকরা
বিল পেশের প্রথম থেকেই পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার কৃষকরা কৃষি বিলের বিরোধিতায় উত্তাল হয়েছেন। কৃষকদের স্বার্থে আঘাত হানার চেষ্টা করছেন মোদী সরকার অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ফসল বিক্রি ক্ষেত্রে বাণিজ্যিকীকরণ করা নিেয় প্রতিবাদে সরব হয়েছেন তাঁরা। কৃষকদের স্বার্থেরই মোদী সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন শরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কউর।
দোলাচলে উত্তর প্রদেশের চাষীরা
কৃষি বিল নিয়ে পাঞ্জাব-হরিয়ানার কৃষকরা সরব হলেও উত্তর প্রদেশের কৃষকরা কিন্তু এখনও চুপ করে আছেন। তাঁরা ভেবে পাচ্ছেন না কী করবেন। কারণ তাঁদের কাছে সরকারি কৃষি মাণ্ডিতে ফসল বিক্রি করাও যা আবার বাইরে ক্রেতাদের কাছে ফসল বিক্রি করাও তাই। কারন অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তাঁরা সরকারের বেঁধে দেওয়া সহায়ক মূল্য পাননা। এমনকী সরকারি মাণ্ডিতেও সেই সহায়ক মূল্য থেকে বঞ্চিত হন। তাই এই কৃষিবিল নিেয় তাঁরা কোন পথে যাবেন সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না।
বঞ্চিত কৃষকরা
সরকারি মাণ্ডিতে ফসল বিক্রি করেও বঞ্চনার শিকার হয়ে থাকেন যোগীর রাজ্যের কৃষকরা। কারণ তাঁরা সহায়ক মূল্য পান না সঠিক সময়ে। তাই খোলা বাজারে ফসল বিক্রি করে তাঁরা লাভবান হবেন না বঞ্চিত হবেন এই নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছেন। সেকারণেই এখনও এই কৃষি বিল নিয়ে কোনও পথেই হাঁটতে চাইছেন না তাঁরা।