নজরে আস্থাভোট, কোন পথে যাবে মহারাষ্ট্রের ছোট ছোট রাজনৈতিক দলগুলি?
নজরে আস্থাভোট, কোন পথে যাবে মহারাষ্ট্রের ছোট রাজনৈতিক দলগুলি?
বিজেপিকে সমর্থন না বিরোধীদের সঙ্গে যাওয়া? কোন পথে যাবে মহারাষ্ট্রের ছোট রাজনৈতিক দলগুলি। এই নিয়ে প্রবল টানা পোড়েন চলছে। কারন সামনেই রয়েছে আস্থাভোট। এই আস্থাভোটে ছোট রাজনৈতিক দলগুলির উপর অনেকটাই জয় নির্ভর করছে ফড়নবিশদের। তাঁদের সমর্থন আদায় করতে পারলে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না বিজেপি শিবিরের।
নজরে নির্দল বিধায়করা
আস্থা ভোটে যেতেই হবে বিজেপিকে। সেটা যতটা তাড়াতাড়ি সম্ভব করাতে চায় শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস। বিজেপিকে জবাব দিতে এখন এই আস্থাভোটই ভরসা বিরোধী শিবিরের। তাই এখন নজর পড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির উপরে কোন পথে যাবে তারা সেদিকেই তাকিয়ে আছে বিজেপি, শিবসেনা। ১৩ জন নির্দল বিধায়কের আস্থা অর্জন করতে পারলে কেল্লাফতে হবে বিজেপির। আবার এঁদের ভোট শিবসেনা নিজের দখলে রাখার মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
নজরে ছোট রাজনৈতিক দলের বিধায়করা
মহারাষ্ট্রে ২৮৮টি আসনের মধ্যে ১৪৫টি আসন পেতেই হবে ফড়নবীশদের। অজিত পাওয়ারকে পাশে নিয়ে এখন বিজেপির কাছে আছে ১১৯টি বিধায়ক। কিন্তু ১৪৫টি আসন পেতে গেলে নির্দল এবং ছোট রাজনৈতিক দলের ৫৬ জন বিধায়কের সমর্থন আদায় করতে হবে বিজেপিকে। এর মধ্যে আবার ১৩ জন নির্দল এবং ১৬ জন ছোট রাজনৈতিক দলের বিধায়ক রয়েছেন। এই ১৬ জন ছোট রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের ভোট দখলে রাখার লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে দুই শিবিরে।
আস্থাভোট নিয়ে চাপে বিজেপি
সুপ্রিম কোর্ট আজই বিজেপিকে আস্থাভোট করানোর নির্দেশ দিতে পারে। অন্যদিকে সূত্রের খবর বিজেপি আরও ৩ দিন আস্থাভোটের জন্য সময় চাইবে। সেটা যদি সুপ্রিম কোর্টে গ্রাহ্য না হয় তাহলে সমূহ বিপদ সামনে। কারণ শিবসেনা আগে থেকেই হুঙ্কার দিয়ে রেখেছে আস্থা ভোটে বিজেপি হারবেই। আসল খেলা এখন আটকে রয়েছে আস্থাভোটে। আর এই ৫৬ জন নির্দল ও ছোট রাজনৈতিক দলের বিধায়কদের ভোট নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে টানাপোড়েন।