ঘূর্ণিঝড় গুলাবের পরে কোন ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ কোন দেশের, জন্মের আগেই তৈরি পরের ১৫০-এর বেশি নাম
গত মে মাসে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন ইয়াস। এরপর আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (cyclone gulab)। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড়। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের
গত মে মাসে ওড়িশা উপকূলে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন ইয়াস। এরপর আঘাত হানতে প্রস্তুতি নিচ্ছে ঘূর্ণিঝড় গুলাব (cyclone gulab)। ওড়িশা ও অন্ধ্র উপকূলে আঘাত হানতে তৈরি হচ্ছে পাকিস্তানের নাম দেওয়া ঘূর্ণিঝড়। এরপরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম হল শাহিন। এরপর ভারত মহাসাগরীয় এলাকার ১৩ টি দেশের দেড়শোরও বেশি নাম তৈরি হয়েছে।
১৩ টি দেশ ১৬৯ টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম দিয়েছে
২০২০-র এপ্রিলে ১৩ টি দেশের দেওয়া ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ প্রকাশিত হয়। সবমিলিয়ে সেখানে ১৬৯ টি ঘূর্ণিঝড়ের নাম রয়েছে। যে ১৩ টি দেশে ১৩ টি করে নাম দিয়েছে সেই দেশগুলি হল ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, বাংলাদেশ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব এবং ইয়েমেন। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (ডব্লুএমও)-র আঞ্চলিক কমিটিতে রয়েছে এই দেশগুলি। এই দেশগুলিকে নিয়ে গঠিত হয়েছে ইকনোমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্য প্যাসিফিক(এএসসিএপি)।
গুলাবের পরে আসছে শাহিন
এবছরের মে মাসে আঘাত হেনেছিল ইয়াস। তারপর আঘাত হানতে চলেছে গুলাব। এরপর আঘাত হানতে চলেছে শাহিন। নামটি কাতারের দেওয়া। এরপর জোয়াড। এই নামটি দিয়েছে সৌদি আরব। এরপর রয়েছে শ্রীলঙ্কার আসানি, থাইল্যান্ডের সিতরাং, সৌদি আরবের দেওয়া মান্দোস এবং ইয়েমেনের দেওয়া মোচা। এই পর্যন্ত হলে ১৩ দেশের একটি করে নাম দেওয়া হয়ে যাবে।
বাংলাদেশের দেওয়া ১২ টি নাম
বাংলাদেশের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথমটি ছিল নিসর্গ। বাকি ১২ টি নাম হল বিপর্যয়, অর্ণব, উপকূল, বার্সন, রাজানি, নিশীথ, উর্মি, মেঘালা, সমীরণ, প্রতিকূল, সরোবর, মহানিশা।
ভারতের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
ভারতের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথমটি ছিল গতি। বাকি ১২ টি নাম হল তেজ, মুরাশু, আগ, ভয়ম, ঝড়, প্রবাহ, নীর, প্রভঞ্জন, ঘূর্ণি, আম্বুদ, জলধি ও ভেগা।
ইরানের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
ইরানের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথমটি ছিল নিভর। বাকি ১২ টি নাম হল হামুন, আকভান, সিপান্ড, বুরান, অনাহিতা, আজর, পুয়ান, আরশম, হেনগেম, সাভাস, তাহামটান, তুফান।
মালদ্বীপের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
মালদ্বীপের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথমটি ছিল বুরেভি। বাকি ১২ টি নাম হল বিধিলি, কানি, ওদি, কেনু, এন্ধেরি, রিয়াউ, গুরুভা, কুরাঙ্গি, কুরেধি, হোরাঙ্গু, থুন্ডি, ফানা।
মায়ানমারের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
মায়ানমারের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথম নামটি ছিল তাউকাটে। বাকি ১২ টি নাম হল মিচাউন, গামান, কার্থিত, সাপাকি, ওয়েটুন, মাইহাউত, কাইয়ে, পিঙ্কু, ইংকাং, লিনিওয়ান, কিয়ান, বাউতপাত।
ওমানের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
ওমানের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথম নামটি ছিল ইয়াস। এরপরের ১২ টি নাম হল, রেমাল, সেইল, নাসিম, মুজ, সাদিম, দিমা, মানজোর, রুকম, ওয়াটাড, আলজার, রাবাব, রাড।
পাকিস্তানের দেওয়া বাকি ১২ টি নাম
পাকিস্তানের দেওয়া নামের তালিকায় প্রথম মানটি হল গুলাব। বাকি ১২ টি নাম হল আসনা, সাহাব, আফসান, মানাহিল, সুজানা, পারওয়াজ, জানাটা, সারসার, বাদবান, সারাব, গুলনার, ওয়াসেক।
কাতারের দেওয়া ১৩ টি নাম
শাহিন, দানা, লুলু, মৌজ, সুহেল, সাদাফ, রিম, রাইহান, আনবার, উদ, বাহার, সিফ, ফানার।
সৌদি আরবের দেওয়া ১৩ টি নাম
জাওয়াদ, ফেনগাল, গাজির, আসিফ, সিদরা, হারিদ, ফেইড, কাসির, নাখিল, হাবুব, বারেক, আলরিম, ওয়াবিল।
শ্রীলঙ্কার দেওয়া ১৩ টি নাম
আসানি, শক্তি, গিগাম, গাগানা, ভেরাম্ভ, গারজানা, নিবা, নিনানন্ডা, ভিদুলি, ওঘা, সালিথা, রিভি, রুদু।
থাইল্যান্ডের দেওয়া ১৩ টি নাম
সিতরাং, মন্থা, থিয়ানট, বুলান, ফুতালা, আইওয়ারা, সামিং, ক্রাইসন, মাতচা, মাহিংসা, ফ্রায়েওয়া, আসুরি, থারা।
সৌদি আরবের দেওয়া ১৩ টি নাম
মান্দৌস, সেনওয়ার, আফুর, নাহাম, কুফাল, দামান, ডিম, গারগুর, খুব, দেল, আথমাদ, বুম, সাফার।
ইয়েমেনের দেওয়া ১৩ টি নাম
মোচা, ডিতওয়া, দিকসাম, সিরা, বাখুর, ঘাইজি, হাউফ, বালাফ, ভ্রুম, শুক্রা, ফার্টক, দারশা, সামসা।
ইতিহাস
ঘাটলে
দেখা
যায়,
১৯
শতকের
মাঝামাঝি
সময়ে
মার্কিন
সেনা
এবং
আবহবিদরা
নারীর
নামে
ঘূর্ণিঝড়ের
নাককরণ
করতেন।
বছরের
প্রথম
ঘূর্ণিঝড়ের
নাম
দেওয়া
হত
'এ'
দিয়ে
আর
দ্বিতীয়
ঘূর্ণিীঝড়ের
নাম
দেওয়া
হত
'বি'
দিয়ে।
যদিও
একটা
সময়
এই
নামকরণ
নিয়ে
প্রশ্ন
উঠতে
শুরু
করে।
মেয়েদের
নাম
দিয়ে
ঘূর্ণিঝড়ের
নামকরণে
পিছনে
যুক্তি
ছিল,
মেয়েদের
নাম
মানুষ
সহজেই
মনে
রাখতে
পারে।
আবার
কেউ
কেউ
বলতেন,
মেয়েরা
তো
ঝড়ের
মতোই।
তবে
১৯
শতকের
শেষের
দিকে
ঘূর্ণিঝড়ের
নাম
পুরুষদের
নামে
রাখার
একটা
চল
শুরু
হয়েছিল।
পরে
অবশ্য
সবকিছুর
পরিবর্তন
করা
হয়।
আন্তর্জাতিক
নিয়ম
চালু
করা
হয়।
ঘূর্ণিঝড় গুলাব 'অসময়ে' আছড়ে পড়তে চলেছে স্থলভাগে, শনিবার থেকেই আবহাওয়ার পরিবর্তন
Recommended Video