সংসদে সীতারমনের ঢাল পার্থ-অর্পিতা, 'চুপ' তৃণমূল সাংসদরা! 'প্রমাণ' জমা দিতে বললেন ধনখড়
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পরে ইডির হেফাজতে, তারপর থেকে জেল বন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা সোনা উদ্ধারের ঘ
নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতারের পরে ইডির হেফাজতে, তারপর থেকে জেল বন্দি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর বান্ধবী অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়।
অর্পিতার দুটি ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা সোনা উদ্ধারের ঘটনা সবারই জানা। সেই ঘটনা যে দেশের অর্থমন্ত্রীর চোখ এড়ায়নি, তা প্রমাণ হয়ে গেল রাজ্যসভায়। ইডির কাজের ঢাল হিসেবে তিনি টেনে আনলেন পার্থ-অর্পিতার প্রসঙ্গ। সেই সময় কোনও কথাই বলতে পারলেন না তৃণমূল সাংসদরা।
বিরোধীদের অভিযোগ
সাধারণভাবে বিরোধীরা অভিযোগ করে থাকেন সরকার বিরোধীদের চাপে রাখতে কেন্দ্রীয়-সংস্থা ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করে। সেইরকমই অভিযোগ ফের উঠেছিল রাজ্যসভায় বাজেটের অতিরিক্ত খরচ নিয়ে আলোচনার সময়। ই়ডিকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিল বিরোধীদের। নির্দিষ্ট করে বিরোধীদের অভিযোগ ছিল দল ভাঙাতে ইডি-সিবিআইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জবাবে অর্থমন্ত্রীর পার্থ-অর্পিতা প্রসঙ্গ
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন সঙ্গে সঙ্গে এর জবাব দেন। নাম না করে তিনি পশ্চিমবঙ্গের নিয়োগ দুর্নীতিতে পার্থ-অর্পিতার প্রসঙ্গ টেনে আনেন। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দাবি করেছএন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি নিজেদের মতো কাজ করে। আর কেউ যদি নিজের দলের লোকেদের ধরে রাখতে না পারে, তাহলে অন্য কথা। তার জন্য ইডিকে দোষ দেওয়া যায় না বলেও মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা ও গয়না উদ্ধার প্রসঙ্গ তোলেন। তিনি বলেন, এক মন্ত্রীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
কথা বাড়াননি তৃণমূল সাংসদরা
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী মন্ত্রী ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে টাকা-গয়না উদ্ধারের কথা বললেন সরাসরি তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস কিংবা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাম করেননি। অন্যদিকে তৃণমূল সাংসদরা অর্থমন্ত্রীর কৌশল বুঝতে পেরে আর কথা বাড়াননি।
প্রমাণ জমা দিতে বলেছেন ধনখড়
পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে যে সময় গ্রেফতার করা হয়, সেই সময়েও রাজ্যের রাজ্যপাল ছিলেন জগদীপ ধনখড়। তিনি জানেন পরিস্থিতির কথা। তবে বর্তমানে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান সুযোগ হাতছাড়া করেননি। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে বলেছেন, তাঁর (নির্মলা) হাতে থাকা কাগজের সত্যতা জানিয়ে সংসদে তথ্য জমা দিতে। নির্মলা সীতারমনও সঙ্গে সঙ্গে সম্মতিসূচক বার্তা দেন।
অর্থমন্ত্রী জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের অভিযোগেরও
রাজ্যসভায় তৃণমূলের নেতা ডেরেক ও ব্রায়েনের অভিযোগ ছিল, রাজ্যগুলির বিরুদ্ধে আর্থিক অবরোধ করছে মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রী এর জবাব দিতে গিয়ে বলেছেন, রাজ্যগুলিকে সাহায্য করা, ঋণ নিতে শর্ত চাপানো, সবটাই করা হচ্ছে কমিশনের সুপারিশের ওপরে ভিত্তি করে।