খাদ্যসাথী প্রকল্পের আটাও পাচার হয়ে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডের পশু খামারে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোটা রাজ্যে খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে অত্যন্ত কম দামে চাল,ডাল, আটা পৌঁছে দেওয়া হয় বিপিএল তালিকাভুক্তদের কাছে
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে গোটা রাজ্যে খাদ্যসাথী প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে অত্যন্ত কম দামে চাল,ডাল, আটা পৌঁছে দেওয়া হয় বিপিএল তালিকাভুক্তদের কাছে। কিন্তু অভিযোগ, এই খাদ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় পাওয়া প্যাকেট প্যাকেট আটা পাচার হয়ে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে।
পুরুলিয়ায় ধরা পড়েছে সেই ছবি। গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরিওয়ালা সংগ্রহ করছেন আটার প্যাকেট। তারপর সেটা বস্তাবন্দি হয়ে চলে যাচ্ছে ঝাড়খণ্ডে। সেখানে পশু খাদ্য হিসেবে বিক্রি করা হচ্ছে আটাগুলি।
গ্রামবাসীদের দাবি সরকারি প্রকল্পের আটা এতো নিম্ন মানের যে সেটা খাওয়ার যোগ্য নয়। পশুখাদ্য হিসেবেই ঠিক আছে। সেকারণেই সেগুলি তাঁরা পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি করে দেন। ফেরিওয়ালা গ্রামে গ্রামে ঘুরে আটার জন্য ডাকাডাকি করতেই বাড়ি থেকে মহিলারা এসে আটার প্যাকেট দিয়ে যাচ্ছেন তাঁদের। গ্রামবাসীদের অভিযোগ পোকা, কেরোসিন তেলের গন্ধ আর বালি মেশানো আটা মানুষের খাবার যোগ্য নয়। সেকারণেই পশুর খাদ্য হিসেবে বিক্রি করতে হচ্ছে তাঁদের।
খাদ্যসাথী প্রকল্পের খাবারের মান নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রশ্ন উঠছে। একাধিক জায়গায় গ্রামবাসীরা এই নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু তাতেও কোনও কাজ না হওয়াতেই এভাবে সরকারি প্রকল্পের বিলি করা খাবার পশুখাদ্য হিসেবে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ভিন রাজ্যে।
[ ফের ধস শেয়ার বাজারে, ৭০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স, নিফটিতেও চরম ধাক্কা]