হোয়াটস অ্যাপে শিশু বিক্রির বিজ্ঞাপন, ভাইরাল হল খবর
আড়াই বছরের শিশুকে বিক্রি করতে হোয়াটস অ্যাপে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ঘটনায় দিল্লিতে গ্রেফতার ৩ মহিলাসহ ৪ জন। হোয়াটস অ্যাপে ছবি পাওয়া এক ব্যক্তি টিভিতে শিশুটির ছবি দেখে পুলিশকে জানায়
আড়াই বছরের একটি শিশুকে অপহরণ করে হোয়াটস অ্যাপে বিজ্ঞাপন দিয়ে বিক্রির চেষ্টা। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগে ৩ মহিলাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ।
অপহরণের ঘটনাটি ঘটে ৫ জুন। দিল্লির জামা মসজিদের এক নম্বর গেটের বাইরে নমাজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন আড়াই বছরের শিশুটির বাবা-মা। সেই সময় শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। পুলিশকে এমনটাই জানিয়েছে ধৃত জান মহম্মদ। এরপর শিশুটিকে সাকুরপুরে রাধা নামে একজনের বাড়িতে নিয়ে যায় জান মহম্মদ। শিশুটিকে বিক্রি করে রাধা তাকে বড় পরিমাণ টাকা দেবে বলে জানিয়েছিল।
রাধা শিশুটিকে বেশ কিছুদিন নিজের বাড়িতে রাখে। এরপর সনিয়া নামে একজনের কাছে এক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেয়। শিশুটিকে কিছুদিনের জন্য মঙ্গলপুরে গোপন জায়গায় রাখে সনিয়া। এরপর রঘুবীরনগরের বাসিন্দা সরোজ নামে এক মহিলার কাছে শিশুটিকে ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকায় বিক্রি করে সনিয়া। সরোজ এবার শিশুটিকে বিক্রি করতে ছবিসহ বিজ্ঞাপন দেয় হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে। দাম ঠিক করে ১ লক্ষ ৮০ হাজার।
ইতিমধ্যেই শিশুটির ছবি নিয়ে ওয়াল্ড সিটির কেবল অপারেটরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে পুলিশ। আর হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে ছবিটি এমন একজনের কাছে পৌঁছয় যিনি টিভিতে শিশুটিকে দেখেছিলেন। সেই সহৃদয় ব্যক্তিই জামা মসজিদ পুলিশ থানায় যোগাযোগ করেন।
পুলিশ শিশুটির খোঁজে তল্লাসি চালাচ্ছে অনুমান করে, শিশুটিকে রঘুবীরনগরে রেখে নিজেই পুলিশকে ফোন করে সরোজ নামের ওই মহিলা। পরিত্যক্ত অবস্থায় শিশুটিকে মন্দিরের বাইরে পাওয়া গেছে বলে সরোজ পুলিশকে জানায়। শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ ওই নম্বরে ফোন করলেও, ফোনটির সুইচ অফ করা ছিল। আর এতেই সন্দেহ বাড়ে পুলিশের। ফোন নম্বরের সন্ধানের ভিত্তিতেই সরোজকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, একটি আইভিএফ ক্লিনিকে গিয়ে ধৃত সরোজ, রাধা, সনিয়া-র পরিচয় হয়েছিল। ধৃত ৩ মহিলা এর আগে গুরগাঁওতে একটি শিশুকে বিক্রি করেছিল বলে সন্দেহ পুলিশের। শিশু বিক্রি করতে তারা সন্তানহীন দম্পতিদের টার্গেট করত বলে মনে করছে পুলিশ।