নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে আইনি যুদ্ধের ডাক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা হোয়াটসঅ্যাপের
নয়া ডিজিটাল বিধি নিয়ে আইনি যুদ্ধের ডাক, কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মামলা হোয়াটসঅ্যাপের
বুধবার থেকেই কার্যকরী হওয়ার কথা ছিল কেন্দ্রের নয়া ডিজিটাল বিধি। সোশ্যাল মিডিয়া সহ ওটিটি প্ল্যাটফর্মে 'বিতর্কিত পোস্ট' ঠেকাতে ও স্বচ্ছতা আনতেই এই নয়া বিধিনিষেধ আনা হয়েছিল বলে দাবি করেছিল কেন্দ্র। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একগুচ্ছ নির্দেশিকাও জারি করা হয়। নির্দেশিকা লাগু করতে তিন মাসের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। এবার তা না করে ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আইনি লড়াইয়ের পথে হাঁটল হোয়াটসঅ্যাপ।
মঙ্গলবারই হোয়াটসঅ্যাপের কনজিউমারদের সুরক্ষার প্রসঙ্গ তুলে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করল ফেসবুক অধীনস্থ সংস্থা। তাদের দাবি কেন্দ্রের নয়া বিধি কার্যকর করলে গ্রাহকদের ব্যক্তিগত সুরক্ষা বলে আদপে আর কিছুই থাকবে না। যদিও ফেসবুক মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছিল, সরকারের নিয়ম অনুসরণ করার যাবতীয় প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে তারা। কিন্তু তাদেরই অধীনস্থ ফেসবুক ভিন রাস্তায় হাঁটায় চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তি মহলে।
'নির্দিষ্ট' সময়ের আগেই ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের ল্যান্ডফল, আবহবিদদের আশঙ্কা সত্যি হল
হোয়াটঅ্যাপের স্পষ্ট দাবি নতুন এই নিয়মের আওতায় পড়লে গ্রাহকদের গোপনীয়তার সুরক্ষা ভেঙে ফেলতে হবে। যা কোনও ভাবেই কাম্য নয়। এদিকে নতুন নীতিতে কোনও প্রয়োজন হলে, কোনও মেসেজের উত্স ট্র্যাক করতে হবে যে কোনও মেসেজিং প্ল্যাটফর্মকে। হোয়াটসঅ্যাপের দাবি কেন্দ্রের নির্দেশিকা অনুযায়ী তাদের মেসেজিং অ্যাপে চ্যাট ট্রেস করা কার্যত হোয়াটস্যাপে পাঠানো প্রতিটি মেসেজের ডিজিটাল ফিঙ্গারপ্রিন্ট রাখার সমান।
এর ফলে হোয়াটঅ্যাপের নিজস্ব এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন ব্যবস্থাই বড়সড় ধাক্কা খাবে। প্রশ্নের মুখে পড়বে গ্রাহক সুরক্ষা। ব্যহত হবে প্রাইভেসি পলিসি। আর তাই আইনী লড়াই ছাড়া তাদের কাছে আর কোনও রাস্তাই খোলা নেই বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে।