চাপের মুখে পিছু হঠল কেন্দ্র, জানিয়ে দিল কোনও সোস্যাল মিডিয়ার ব্যক্তিগত বার্তায় সরকারি নজরদারি নয়
নয়াদিল্লি, ২২ সেপ্টেম্বর : সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ, এসএমএস, ইমেলে সরকার নজরদারি চালানোর যে নীতি চালু করার ঘোষণা করেছিল, প্রবল বিতর্কের মুখে পড়ে মঙ্গলবার সেই নীতি প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিল কেন্দ্র। হোয়াটঅ্যাপ, টুইটার, ফেসবুক এবং অন্য কোনও সোস্যাল মিডিয়াতেই নজরদারি চালানো হবে না বলে জানিয়ে দিল কেন্দ্রীয় তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রক।
'ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি' আওতায় রাখা হচ্ছে না সোস্যাল নেটওয়ার্ককে। বিশেষজ্ঞ কমিটি সাধারণ মানুষের ব্যক্তি চ্যাট, মাইক্রোব্লগিং, ফেসবুকে নজরদারি চালানোর যে প্রস্তাব রেখেছিল তা খারিজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে তথ্যসম্প্রচার মন্ত্রক।
'ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি' যে খসড়া পেশ করেছিল কেন্দ্রীয় বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক তা হল ব্যক্তিগত বার্তায় হোয়াটস অ্যাপ, হ্যাঙ্গ আউট, ইমেল, টুইটারের পোস্ট পড়তে পারবে সরকার। ৯০ দিনের আগে ডিলিট করা যাবে না হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ। নিরাপত্তা সংস্থা চাইলে আপনার কাছে মেসেজ পড়তে চাইতে পারে। এই নির্দিষ্ট সময়সীমার আগে যদি মেসেজ ডিলিট করা হয় তাহলে আপনাকে জেলেও যেতে হতে পারে।
এরপরই বিভিন্ন মহল থেকে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ্র অভিযোগ উছতে শুরু হয়। প্রবল সমালোচনার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রকে। আর এই সমালোচনা ও বিতর্কের মুখে পরেই অবশেষে সোস্যালমিডিয়াকে নজরদারির আওতায় না আনার সিদ্ধান্ত নিল মোদী সরকার।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার নিজের ভুল তাড়াতাড়ি উপলব্ধি করতে পেরেছে। যদি এই 'ন্যাশনাল এনক্রিপশন পলিসি' খসড়া বাস্তবায়িত হত তাহলে সাধারণ উপভোক্তার স্বাধীনতা ভঙ্গ তো হতই পাশাপাশি নেট ব্যাঙ্কিং এবং অনলাইন আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যেত।