হোয়াটস অ্যাপের 'গুড মর্নিং' মেসেজেই হল কাল! বেঙ্গালুরুতে ৫ লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যক্তি
হোয়াটস অ্যাপের 'গুড মর্নিং' মেসেজেই হল কাল! বেঙ্গালুরুতে ৫ লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যক্তি
ঘটনা দক্ষিণের বাগিচা শহর বেঙ্গালুরুর। যেখানে হোয়াটস অ্যাপে গুড মর্নিং মেসেজ থেকেই প্রবল বিপত্তির মুখে পড়েছেন এক ব্যক্তি। প্রযুক্তি নির্ভর এই শহর সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ব্যস্ত থাকে নিজের ছন্দে। দুনিয়ার অন্যতম ব্যস্ত এই শহরেই ঘটে গেল বড়সড় বিপত্তি। উল্লেখ্য, হোয়াটস অ্যাপে গুড মর্নিং মেসেজ প্রায়সই আসতে দেখা যায়। অনেকেই সেই মেজে অন্যকে ফরোয়ার্ডও করেন। তবে সেই মেসেজ যে এই ব্যক্তির জীবনে প্রবল কাল ডেকে আনবে, তা অনেকেরই ধারণার বাইরে!
কী ঘটেছে?
বেঙ্গালুরুর গোবিন্দপুরা পুলিশ স্টেশনে সদ্য একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ২ বছর ধরে এক ব্যক্তি সেখানে একটি অজানা নম্বর থেকে 'গুজ মর্নিং' মেসেজ পেয়ে যাচ্ছেন। ৫০ বছরের সেই ব্যক্তি এযাবৎকালে প্রায় ২০ টি টেক্সট এমন পান, যেখানে সকালে উঠেই নিজের ফোনে হোয়াটস অ্যাপে তাঁকে কেউ 'গুড মর্নিং' মেসেজ পাঠান। ঘটনার কিনারা করতে, ব্যক্তি নিজেই গত ৮ অক্টোবর এই মেসেজ প্রেরকের সঙ্গে দেখা করবেন বলে ঠিক করেন। জানা যায় ৫০ বছরের ওই ব্যক্তিকে এক মহিলা মেসেজ করছিলেন।
৮ অক্টোবর কী ঘটেছে?
জানা গিয়েছে, ৮ অক্টোবর হোয়াটস অ্যাপের সেই গুড মর্নিং মসেজ প্রাপকের সন্ধান করতে গিয়ে বেঙ্গালুরুর বিরানপালায়ার কাছে এক হোটেলের কাছে এক জায়গায় তিনি যান। ঘরের দরজা খুলে দেখেন , কোনও মহিলা নন, সেখানে ৩ জন ব্যক্তি বসে। যে ব্যক্তিরা নিজেদের পুলি পরিচয় দিয়ে ওই ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে কার্যত হুমকি দিয়ে বলেন , যে তারা জানে এই ব্যক্তির কাছে মাদক রয়েছে। আর সেই সূত্রেই ব্যক্তির ফোন ও ক্রেডিট কার্ড দেখতে চান। এরপরই তোখের নিমেষে ৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে নেয় ওই ৩ ব্যক্তি।
কীভাবে পালায় তারা?
নিজেদের পুলিশ পরিচয় দেওয়া ওই ৩ ব্যক্তি যে আসলে দুষ্কৃতী তা বুঝতে কিছুটা সময় লাগে এই ৫০ বছর বয়সী ব্যক্তির। যখন তিনি সমস্তটা বুঝে ফেলেন , ততক্ষণে তাঁকে রুমে লক করে পালিয়ে গিয়েছে আততায়ীরা। এরপর তিনি যখন সেখান থেকে কোনও রকমে পালিয়ে নিজের বাড়ি আসেন, ততক্ষণে ৩ লাখ টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে হাওয়া। একটু বাদেই জানতে পারেন যে, তাঁর আরও কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে আরও ২ লাখ টাকা চলে গিয়েছে।
পুলিশি তৎপরতা
এরপরই বেঙ্গালুরুর পুলিশের কাছে গিয়ে ঘটনার অভিযোগ জানান তিনি। তখনই শুরু হয়ে যায় তদন্ত। বাগিচা শহরের পুলিশের এই দুষ্কৃতীদের খুঁজে পেতে বেশি সময় লাগেনি। তাঁরা কয়েকদিনের মধ্যেই ১ জনকে খুঁজে বের করে ফেলে। বাকি ২ জনের খোঁজ চলছে বলে খবর। এর সূত্র ধরেই পুলিশের তরফে এমন ধরনের ঘটনা নিয়ে সতর্কতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এমন মেসেজ আসলে প্রয়োজনে পুলিশকে জানানোর কথাও বলা হচ্ছে।