বেঁচে থাকলে অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে কী প্রতিক্রিয়া দিতেন বালাসাহেব ঠাকরে?
আজ কয়েক দশকের অপেক্ষার পর শেষ পর্যন্ত নিষ্পত্তি হল বহুপ্রতিক্ষিত অযোধ্যা বিবাদ মামলার। আজ আদালতে যখন হাজার পাতার রায় পড়তে শুরু করেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, তখন সকাল সাড়ে দশটা। তখন সবারমনেই উৎসাহ, উৎকণ্ঠা। সবার মনে একই প্রশ্ন, কার দিকে ঝুঁকবে ন্যায়ের দাড়ি পাল্লা? শেষ পর্যন্ত ১১টার কিছু পর যখন চিত্রটা পরিষ্কার হল, ততক্ষণে রামভক্তরা আনন্দিত। রায় ঘোষণার পর অনেকেই রয়েসয়ে বক্তব্য রেখেছেন, অনেকে আবার অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। আবার অনেকেই আনন্দের কথা গোপন রাখেননি। তাদেরই একজন, বর্তমানে শিবসেনা প্রধান উদ্ধাব ঠাকরে। রায় ঘোষণার পরেই তিনি জানান, ২৪ নভেম্বর অযোধ্যা যাবেন তিনি। তবে অনেকজন নিজেদের প্রতিক্রিয়া দিলেও, মূল রামজন্মভূমি আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত অনেকেই আজ বেঁচে নেই। যারা আজ বেঁচে থাকলে আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করতেন। সেরমই একজন হলেন বালাসাহেব ঠাকরে।

মহারাষ্ট্রে এই মুহূর্তে নিজেদের ক্ষমতা হ্রাস পেতে দেখেছে শিব সেনা। কিন্তু বালাসাহেবের সময়, দৃশ্যটা ছিল অন্য রকম। ১৯৯৫ সালে প্রথমবার মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করেছিল সেনা-বিজেপি জোট। সেই সময় মহারাষ্ট্রে জোটের বড় ভাই ছিল সেনা। বর্তমানে চিত্রটা অন্য। সেই পুরোনো প্রতাপ ফিরে পেতে মরিয়া শিব সেনা মুখ্যমন্ত্রিত্বের দাবি করলেও, ফুলে ফেপে ওঠা বিজেপি সেই দাবির তোয়াক্কা করছে না। অনেকের বক্তব্য, বাল ঠাকরে থাকলে মহারাষ্ট্রে এই ভাবে বিজেপি বাড়বাড়ন্ত দেখাতে পারত না।
বালাসাহেব থাকলে মহারাষ্ট্রে বিজেপি শিবসেনাকে এভাবে উপেক্ষা করতে পারত কী না তা কারোর জানা নেই। তবে বালাসাহেব আজ বেঁচে থাকলে নিশ্চই রামমন্দির নিয়ে শীর্ষ আদালতেই এই সিদ্ধান্তে খুশি হতেন। মারাঠা রাজনীতির একসময়কার এই প্রতাপশালী নেতা কোনও রাগঢাক না করেই রামমন্দিরের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। বালাসাহেবের সময়কার সেই শিবসেনা আজ নেই। যেই বালাসাহেব নিজে জীবনে ভোটে লড়েননি, সেই পরিবার থেকে এই বার প্রথমবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে বিধায়ক হয়েছেন আদিত্য ঠাকরে। তবে আজ তিনি না থাকলেও তাঁর দেখা রামমন্দিরের স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে আনন্দিত হয়েছেন তাঁর ছেলে উদ্ধব। বেঁচে থাকলে যে বালাসাহেব আপ্লুত হতেন সেই কথা জানান এমএনএস প্রধান রাজ ঠাকরেও।