কোয়াডে চিড়? ভারতের জলসীমায় মার্কিন রণতরীর মহড়ায় 'কান লাল' দিল্লির সাউথ ব্লকের
অনুমতি ছাড়া ভারতীয় জলসীমা তথা নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি রণতরী। আর তারপর থেকেই কোয়াডের ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছে। উল্লেখ্য, একদিন আগেই জানা যায়, মার্কিন রণতরী ইউএসএস জন পল জোনস আন্দামান সাগরে ভারতীয় অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে পড়ে। মার্কিন 'নেভিগেশনের স্বাধীনতা অপারেশন'-এর অধীনে এই মহড়া চালানো হয়।
ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে মহড়া মার্কিন রণতরীর
বুধবার বিবৃতি জারি করে মার্কিন নৌসেনার সপ্তম ফ্লিটের তরফে জানানো হয়, ভারতের থেকে কোনও ধরনের অনুমতি ছাড়াই লাক্ষ্মদ্বীপের পশ্চিমে ১৩০ নটিক্যাল মাইল দূরত্বে আন্তর্জাতিক জলসীমা অতিক্রম করে ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চলে মহড়া চালানো হয়েছে। মার্কিন নৌবাহিনীর তরফে দাবি করা হয়, সমুদ্রপথে ভারত যে অত্যধিক দাবি করে, তা চ্যালেঞ্জ করেই সেই মহড়া চালানো হয়েছে।
বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ভালো হয়েছে আমেরিকার
এবং এই বিবৃতি ঘিরেই যাবতীয় অস্বস্তি ভারতের। দুই দেশের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বারবার ফোন ঘোরাচ্ছেন সাউথ ব্লকের কূটনীতিবিদরা। উল্লেখ্য এর আগে ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানকে সমর্থন জানিয়ে সপ্তম ফ্লিট পাঠানো হয়েছিল বঙ্গোপসাগরে। তবে তখন থেকে বর্তমানে সময় বদলেছে অনেকটা। বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ভালো হয়েছে আমেরিকার।
ভারত-মার্কিন সম্পর্কে চিড় ধরার সম্ভাবনা
আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী প্রতিটি উপকূলীয় দেশের ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চল সেই দেশের নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল। সেই এলাকায় পাওয়া তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস এবং মাছ সহ জলের সমস্ত সম্পদের উপর একমাত্র অধিকার রয়েছে সেই দেশের। সেই হিসেবে মার্কিন রণতরী যেখানে ঢোকে, তা ভারতীয় জলসীমার অন্তর্গত। এবং সেই অঞ্চলে ঢোকে মার্কিন রণতরী। যার জেরে ভারত-মার্কিন সম্পর্কে চিড় ধরার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ধন্দে সাউথ ব্লক
প্রসঙ্গত, এর আগে ভারতীয় জলসীমায় কোনও দিন মার্কিন রণতরী ঢুকলে তা নিয়ে কোনও বক্তব্য পেশ করেনি ভারত। অলিখিত ভাবেই সেই আচরণ প্রায় মেনে নেয় ভারত। এর আগে ২০১৯ সালে চিনা নৌবাহিনীর রণতরী আন্দামান সাগরে এলে দিল্লির তরফে কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছিল। তবে এবার ঠিক কতটা কড়াকড়ি ভারত দেখাবে, তা নিয়ে ধন্দে সাউথ ব্লক। এবং এই ঘটনা নিয়ে এতটা চাপানউতোর শুরু হয় মার্কিন ফ্লিটের সেই বিবৃতি।