কী হতে চলেছে করোনা লকডাউন ৪.০, কোথায় ছাড় কোথায় কড়াকড়ি একনজরে ১০টি পয়েন্ট
কী হতে চলেছে করোনা লকডাউন ৪.০, কোথায় ছাড় কোথায় কড়াকড়ি একনজরে ১০টি পয়েন্ট
সংক্রমণ কমা তো দূরের কথা উল্টে বেড়ে চলেছে দাবানলের গতিতে। সেকারণেই করোনা লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদী সরকার। বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একেবারে অন্য ধরনের চতুর্থ দফার লকডাউনের কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কী হতে চলেছে চতুর্থ দফার লকডাউন। সম্ভাব্য নিয়মাবলি রইল এক নজরে।
১. তিন দফার লকডাউনে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলি। এই পরিস্থিতিতে অন্ধ্র প্রদেশ , কেরল, কর্নাটক, গুজরাট এবং দিল্লি সরকার প্রস্তাব দিয়েছে অর্থনীতির স্বার্থে বেশ কিছু বেচাকেনায় ছাড় দেওয়া হোক। অন্ধ্র প্রদেশ প্রস্তাব দিয়েছে কন্টাইমেন্ট জোন নয় এমন এলাকায় দোকান বাজার খুলে দিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক করে দেওয়া গহোক।
২. করোনা সংক্রমণে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য দিল্লি। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ার এই পরিস্থিতিতেও দিল্লির অর্থনৈতিক অবস্থা ঠিক করতে কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে দোকান বাজার খুলে দেওয়ার কথা বলেছে। তবে রেড জোনে আরও কড়াকড়ি করার প্রস্তাব দিয়েছে।
৩. কেরল অবশ্য একটু েবশি ছাড় চেয়েছে। কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন প্রস্তাব করেছেন মেট্রো, লোকাল ট্রেন, বিমান পরিষেবা চালু করা হোক। রেস্টুরেন্ট এবং হোটেলেও খুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি। কেরলে সবার প্রথম করোনা ভাইরাস ছড়াতে শুরু করলেই অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে সেটি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে।
৪. কেরলেন মতোই সাফল্যের সঙ্গে করোনা ভাইরাসকে নিয়ন্ত্রণে এনেছে কর্নাটকও। মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পা তাই রেস্টুরেন্ট, হোটেল, জিম খুলে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন। তৃতীয় দফার লকডাউনের মধ্যেই কর্নাটক সরকার রাজ্যে পাব এবং রেস্টুরেন্ট গুলিতে মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে।
৫. করোনা সংক্রমণে দিল্লিকে ছাপিয়ে গিয়েছে তামিলনাড়ু। কিন্তু তারপরেও অর্থনীতির স্বার্থে কন্টেইনমেন্ট জোনের বাইরে জনজীবন স্বাভাবিক করার প্রস্তাব দিয়েছে তামিলনাড়ু সরকার। চেন্নাইয়ে একটি সবজি বাজার থেকে ২৬০০জন করোনা ভাইরাসে সংক্রািমত হয়েছেন। সরকারের তরফে জানানো হয়েছে সোমবার বড় ঘোষণা করা হবে লকডাউন নিয়ে দোকান বাজার খোলা এবং কাজের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে এই ঘোষণায়।
৬. করোনা সংক্রমণে দেশে দ্বিতীয় গুজরাত। অথচ চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ বড় শহরগুলি ব্যবসায়ীক গতিবিধি চালু করার প্রস্তাব দিয়েছে। এমনকী করোনা সংক্রামিক আহমেদাবাদ, সুরাত, ভদোদরাকেও স্বাভাবিক করতে চায় গুজরাত।
৭. করোনা সংক্রমণ দেশের যে রাজ্যে সর্বাধিক সেই মহারাষ্ট্র কিন্তু চতুর্থ দফার লকডাউনে কড়াকড়িই রাখতে চায়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় দোকান বাজার খোলার কথা বলা হলেও সামগ্রিক ভাবে তেমন ছাড় চায় না মহারাষ্ট্র সরকার।
৮. তবে লকডাউন কড়াকড়িতে অনড় বিহার, ঝাড়খণ্ড এবং ওড়িশা। নীতীশ কুমার আগেই ১ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ড সরকারও সেই পথেই হাঁটতে চলেছে।
৯. উত্তর প্রদেশ এবং পাঞ্জাব সরকারও চতুর্থ দফার করোনা লকডাউনে আরও কড়াকড়ি করার প্রস্তাব দিয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং লকডাউন রক্ষায় কার্ফু জারির কথা বলেছেন মোদীকে। অন্যদিকে উত্তর প্রদেশের শিরে সংক্রান্তি অবস্থা। পরিযায়ী শ্রমিকরা দলে দলে রাজ্যে ফিরতে শুরু করায় এখনই লকডাউন ছাড়ের কথা ভাবছেন না যোগী আদিত্যনাথ।
১০. উত্তর পূর্বের রাজ্য অসম অবশ্যে করোনা লকডাউন ৪.০ কী হবে সেই সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের উপরেই ছেড়ে দিতে বলেছেন। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি সামগ্রিক ভাবে বিবেচনা করে কেন্দ্র যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই সকলের মেনে নেওয়া উচিত।
এবার রোহিঙ্গা শিবিরেও থাবা বসাল করোনা ভাইরাস, আতঙ্ক বাড়ছে বাংলাদেশে