বিজেপি কি হিন্দুত্ব-ইস্যু থেকে সরে আসবে বাংলা-বিহারের নির্বাচনে! দিল্লিতে হারে প্রশ্ন
দিল্লির ভোটে অমিত শাহ নিজে দায়িত্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে ছিলেন। তারপরও ফায়দা তুলতে পারেনি বিজেপি। ভোট বাড়লেও আসন বাড়েনি।
দিল্লির ভোটে অমিত শাহ নিজে দায়িত্ব নিয়ে ঝাঁপিয়ে ছিলেন। তারপরও ফায়দা তুলতে পারেনি বিজেপি। ভোট বাড়লেও আসন বাড়েনি। এখন সামনেই বিহার, বাংলা ও অসম বিধানসভার নির্বাচন। বাংলায় আবার পুরসভার নির্বাচনের দামাম ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। এই অবস্থায় বিজেপি কি তাঁদের অবস্থান বদল করবে।
দিল্লি ভোটে প্রচার শুরু করার আগে বিজেপি একটি মুম্বই-ভিত্তিক সংস্থা নিয়োগ করে সমীক্ষা চালিয়েছিল। সেই সংস্থার রিপোর্ট ছিল বিজেপি সর্বাধিক আটটি আসন পেতে পারে। তারপরই অমিত শাহ দায়িত্ব নেন। এরপর বিজেপি ৬৫৭৭টি জনসভা করেছে, যার মধ্যে ৫২টি রোডশো ছিল। ৪০টিরও বেশি জনসভায় বক্তব্যা রাখেন বিজেপির সভাপতি।
এছাড়া নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ নিজে এবং নীতিন গডকরি, রাজনাথ সিং, রবিশঙ্কর প্রসাদের মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা-সহ ২৫০ জন সাংসদ যোগ দিয়েছিলেন। উত্তরপ্রদেশ সিএম যোগী আদিত্যনাথ, অনুরাগ ঠাকুর ও পরবেশ ভার্মার মতো নেতারাও জনসভা করেছিলেন। এবং বিতর্কিত বক্তৃতা দিয়েছিলেন। তার প্রভাব মারাত্মক আকার নিয়েছে। বিজেপি কোনও সুবিধাই করতে পারেনি এত কিছুর পরও।
এই বছরের শেষের দিকে বিহারে এবং পরের বছর পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমে ভোট। এই ভোটে বিজেপি প্রচারের অভিমুখ বদলাতে পারে। নাগরিকত্ব সংশোধন আইন এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জিকরণ নিয়ে বিজেপির প্রচারকে অন্যপথে চালিতে করতে পারে আসন্ন তিন রাজ্যের নির্বাচনে।
বিজেপি দিল্লির ভোটে হিন্দুত্ব নিয়েও জোর প্রচার চালিয়েছিল। আম আদমি পার্টিকে কটাক্ষ করতেও ছাড়েনি বিজেপি। হনুমান চালিশা পাঠ নিয়ে কেজরিওয়ালকে কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বিজেপি নেতারা। বিজেপির এই নেতিবাচক প্রচারের পাল্টা মুখবন্ধ রেখেছিলেন কেজরিওয়াল শিবিরের নেতারা।