মন থেকে কিছু চাইলে যে সেটা পাওয়া যায়, আব্দুল কালামের এই কাহিনি তা প্রমাণ করে
কথায় বলে, যিনি যে বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি সেই বিষয়টিকেই আঁকড়ে ধরেন। আর সেই বিষয়টিও যেন সেই মানুষকে ছেড়ে যেতে চায়না। পক্ষান্তরে দুটি দিকই ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে পড়ে।
কথায় বলে, যিনি যে বিষয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন তিনি সেই বিষয়টিকেই আঁকড়ে ধরেন। আর সেই বিষয়টিও যেন সেই মানুষকে ছেড়ে যেতে চায়না। পক্ষান্তরে দুটি দিকই ওতোপ্রোতোভাবে জড়িয়ে পড়ে। রাষ্ট্রপতি, বিজ্ঞানী, এমন সব বিশেষণের বাইরে আব্দুল কালাম একজন শিক্ষাবিদ। আর শিক্ষাকে তিনি এমনই আঁকড়ে ধরেছিলেন যে জীবনের শেষ দিনেও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন সেই শিক্ষা সম্পর্কিত বক্তব্য রাখতে গিয়েই। এমন এক ব্যক্তিত্ব ছোটবেলা থেকেই দেশ সম্পর্কে বিভিন্ন ভাবনাচিন্তা পোষণ করেছেন। একনজরে দেখে নেওয়া যাক দেশ সম্পর্কে কোন কোন ভাবনা চিন্তা ছিল আব্দুল কালামের মনে।
আব্দুল কালামের ছোটবেলার কাহিনি
আব্দুল কালাম একটি বইতে তাঁর স্মৃতি চারণায় লেখেন ,যখনই বিজ্ঞানের শিক্ষক সুব্রহ্মণ্যম স্যার ক্লাসে ঢুকতেন তিনি যেন জ্ঞান আর জীবনের পবিত্রতা ছড়িয়ে দিতেন। একদিন তিনি শিখিয়েছিলেন কিভাবে পাখী আকাশে ওড়ে। আর সেদিন থেকেই কালামের জীবন ডানা মেলেছিল এক অন্য লড়াইয়ের পথে।
পাইলট হতে চেয়েছিলেন কালাম?
ওড়ার স্বপ্ন নিয়ে আব্দুল কালাম ক্লাস ৫ থেকেই চেয়েছিলেন পাইলট হতে। এরপর তিনি যখন পাইল হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা দেন, তখন তিনি দশম হয়েছিলেন। আর সেই হতাশা নিয়েই কালাম বলেছিলেন, 'অনেক সময় এমন অনেক কিছু হয় যা সহজে পাওয়া যায় না।'
এরপর ছিল স্বপ্ন পূরণের পালা
এরপর বহু বছর পার হয়ে যায়। ততদিনে দেশের অন্যতম সমাদৃত বিজ্ঞানী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত আব্দুল কালামের নাম। এরপর তিনি দেশের রাষ্ট্রপতিও হন। আর দেশের রাষ্ট্রপতি থাকাকালীন ২০০৫ সালে আব্দুল কালামকে যুদ্ধবিমান চালানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয় বায়ুসেনার তরফে। রাষ্ট্রপতির সাম্মানিক পদের জন্যই আসে এই আমন্ত্রণ। আর সেই আমন্ত্রণেই স্বপ্ন পূরণ হয় রাষ্ট্রপতি আব্দুল কালামের। 'পাইলট' এর আসন ছুঁয়ে তিনি ওড়ার স্বপ্ন বাস্তব করে নেন ।