২০০৮ সালে বাটলা হাউসে ঠিক কী হয়েছিল! নয়া বিতর্কে কি কংগ্রেস
বাটলা হাউস এনকাউন্টারে নিহত হন মোহন শর্মা নামে ওই পুলিশ আধিকারিক। কংগ্রেসের তরফে সনিয়া গান্ধী, দিগ্বিজয় সিং সহ একাধিক নেতা-নেত্রী ঘটনাটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন।
২০০৮ সালে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। পাহাড়গঞ্জ, বরাখাম্বা রোড, কনট প্লেস, গ্রেটার কৈলাশ, গোবিন্দপুরী এলাকায় পরপর বিস্ফোরণে মোট মোট ১৬৫ জন নিহত হয়েছিলেন, আহত ছিলেন শতাধিক মানুষ।
সেই ঘটনার ছয়দিন পরে বাটলা হাউসে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ। এনকাউন্টার বিশেষজ্ঞ মোহন শর্মার নেতৃত্বে দিল্লি পুলিশের দল জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার খবর পেয়ে হানা দেয়।
পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে বাটলা হাউসে নিহত হয় আতিফ আমিন ও মহম্মদ সাজিদ নামে দুই জঙ্গি। এর মধ্যে আতিফ ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সদস্য হিসাবে দিল্লি বিস্ফোরণে যুক্ত ছিল। সেখানেই লুকিয়ে ছিল আর এক জঙ্গি জুনেইদ। তবে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে সে পালিয়ে যায়।
বাটলা হাউস এনকাউন্টারে নিহত হন মোহন শর্মা নামে ওই পুলিশ আধিকারিক। পরে সন্দেহভাজন ও মৃত জঙ্গিদের পরিবার ঘটনাটিকে ভুয়ো বলে দাবি করে সরব হয়। সেই দাবিতে সাড়া দিয়ে বেশ কয়েকটি মানবাধিকার সংগঠনও হইচই শুরু করে। যার ফলে ঘটনায় রাজনৈতিক রঙ লাগে।
কংগ্রেসের তরফে সনিয়া গান্ধী সংসদে এই ঘটনায় কেঁদে ফেললেও দিগ্বিজয় সিং সহ একাধিক নেতা ঘটনাটিকে ভুয়ো বলে দাবি করেছিলেন। তার প্রেক্ষিতে বিজেপি সহ বিরোধীরা পরে কংগ্রেসকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে শোরগোল করেছে। তার কারণ আদালত পরে রায়ে জানিয়ে দেয়, বাটলা হাউসে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তা ভুয়ো ছিল না।
দলের অনেকে বিরোধিতা করলেও সেইসময়ের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদাম্বরম বাটলা হাউসের ঘটনাকে সত্যি বলে বিবৃতি দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের মধ্যেও বাটলা হাউস নিয়ে মতপার্থক্য ছিল নেতাদের মধ্যে। একদল বলছিলেন এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল, এদিকে সরকারি তরফে নিহত পুলিশ আধিকারিক মোহন শর্মাকে পুরস্কৃত করার পর্ব চলেছিল। পরে আদালতের রায়ে অস্পষ্টতা দূর হয়।