গেরুয়া দুর্গ যোগীগড়ে পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপির ধাক্কা বিধানসভা নির্বাচনের আগে কতটা তাৎপর্যপূর্ণ
পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল যেদিন প্রকাশিত হয়েছে সেই ২ মে , যোগীগড় উত্তরপ্রদেশেও ফলাফল সামনে এসেছে পঞ্চায়েত ভোটে। দেখা দিয়েছে যে অযোধ্যা নিয়ে গেরুয়া শিবির প্রবলভাবে সরব হয়েছিল সেই অযোধ্যা থেকে বারাণসীতে পঞ্চায়েতের ভোটে মানুষ মুখ ফিরিয়েছে বিজেপির থেকে। সেই জায়গায় বিরোধী সমাজবাদী পার্টি তাবড় জমি দখল করেছে। ২০২২ সালে উত্তরপ্রদেশের বুকে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বিজেপির এই ফলাফল এই রাজ্যের রাজনীতিতে কতটা প্রভাব বিস্তার করবে?এই প্রশ্নের কয়েকটি উত্তর বিভিন্ন জল্পনায় উঠে আসছে।


উত্তরপ্রদেশের পঞ্চায়েত নির্বাচন ও বিজেপি
উত্তরপ্রদেশের বুকে মূলত শহর কেন্দ্রিকভাবে বিজেপির পোক্ত দখল রয়েছে। গ্রাম কেন্দ্রিক রাজনীতিতে সেভাবে দখল নেই গেরুয়া শিবিরের। দলের খুব নিচু তলার কর্মীরা গ্রামের রাজনীতির ভীত সেভাবে পোক্ত করতে ব্যর্থ বলে দাবি করছেন বহু বিশেষজ্ঞ। আর এই গ্রাম কেন্দ্রিক পঞ্চায়েত ভোটই বিজেপিকে পিছনে পেলে দিয়েছে।

বহু প্রস্তুতি নিয়েও ব্যর্থ
প্রসঙ্গত, জানুয়ারি মাস থেকেই উচ্চপর্যায়ের কমিটি গড়ে উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে জেপি নাড্ডার নেতৃত্বে থাকা দল। প্রতিটি কমিটিতে স্থানীয় অফিস বিয়ারার থেকে মন্ত্রী , হেভিওয়েট নেতারা ছিলেন। খুবই সিস্টেমেটিক ফর্মুলায় এই ভোটকে পাখির চোখ করে এগিয়ে যায় বিজেপি। তবে তার পরেও এই ফলাফলে ধাক্কা খেয়েছে উত্তরপ্রদেশ বিজেপি। আর তার মূল কারণ হিসাবে গ্রামের জমি বিজেপি পোক্ত করতে পারেনি, বলে মনে করছেন অনেকে।

এই ধাক্কা বিজেপির সরাসরি পরাজয় হিসাবে কেন পরিগণিত হবে না ?
এক নামী সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ৩০৫০ জেলা পরিষদের আসনে পরাজয় বিজেপির প্রত্যক্ষ পরাজয় হিসাবে এখনও পরিগণিত হবে না। এর হাত ধরে বিজেপিতে ধাক্কা আসবে নিশ্চিত। তবে যে দলের ভীত গ্রামে পোক্ত নয়, সেই দলের পঞ্চায়েত ভোটের ফলাফল থেকে এটা বলা যায় না যে দল উত্তরপ্রদেশের বুকে মাটি খুইয়েছে। বিজেপি এখনও তাকিয়ে রয়েছে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সনের মসনদের দিকে। যে মসনদ দখলের হাত ধরে ক্ষমতায়ন এক নতুন দিশা দেবে। যা আগামী বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে বাড়তি মাইলেজ দিতে পারে।

অগ্নিপরীক্ষা বাকি!
উত্তরপ্রদেশ পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি শিবিরে ধাক্কা নিঃসন্দেহে বড় বিষয় গেরুয়া শিবিরের। অন্যদিকে সমাজবাদী পার্টি এই জয়কে নিয়ে উচ্ছ্বসিত। তবে তারা তাদের জয়ের নির্দিষ্ট পরিসংখ্যান এখনও দিতে পারছে না। এমনকি কোন কোন প্রার্থীকে সমর্থন করা হবে, তাও জানাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে জেলা পঞ্চায়েত চেয়ারপার্সনের গদির দিকে তাকিয়ে উত্তরপ্রদেশের ভূমি। যা আগামী বছরের ভোট অঙ্কে বড় প্রভাব ফেলতে পারে।