লোকসভায় পাশ হলেও কোন অগ্নিপরীক্ষা অপেক্ষা করছে তিন তালাক বিলের জন্য
ধ্বনি ভোটে ফের একবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংশোধিত তিন তালাক বিল।
ধ্বনি ভোটে ফের একবার লোকসভায় পাশ হয়ে গেল সংশোধিত তিন তালাক বিল। এদিন সরকার ২৩৮টি পক্ষে ভোট ও ১২টি বিপক্ষে ভোটের মাধ্যমে তিন তালাক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে। তবে ঘটনা হল, লোকসভায় পাশ করালেই যে বিলটি আইন হবে তা নয়। নিম্নকক্ষের পর উচ্চকক্ষেও বিলটি পাশ করাতে হবে। আর সেখানেই বিপদ বারবার অপেক্ষা করে থাকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের জন্য।
কারণ নিম্নকক্ষে অনেক বেশি আসন পেলেও উচ্চকক্ষে বিরোধী শক্তি বেশি মজবুত। আগের চেয়ে শক্তিক্ষয় হলেও বিরোধীরা এককাট্টা হয়ে বারবার বিজেপি সরকারকে রাজ্যসভায় আটকে দিতে পেরেছে। এবারও সেরকমই হতে পারে। আর রাজ্যসভায় বিল পাশ করাতে না পারলে আইন তৈরির ধাপ সম্পূর্ণ হবে না।
বিরোধীরা এই বিলটিকে যাচাই ও আলোচনার জন্য সিলেক্ট কমিটিতে পাঠাতে চেয়েছিল। এছাড়া তাৎক্ষণিক তালাকে তিন বছরের সাজারও বিরোধিতা করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্র সরকার কোনওটাই মেনে নেয়নি।
এদিন বিল পাশ করানোর পর রাজ্যসভায় পাশ করাতে হবে। আগের বিলটিও লোকসভায় পাশ হওয়ার পরে রাজ্যসভায় বিরোধীরা আটকে দেয়। যার জেরে সংশোধনী আনতে বাধ্য হয়েছে সরকার। পুরনো বিলটির জায়গায় এই নতুন বিল আনতে হয়েছে। এদিন এই বিল নিয়েও বিরোধীরা আপত্তি জানাল।
[আরও পডু়ন:ফাঁকা মাঠে গোল বিজেপির, লোকসভায় পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল]
নতুন আইনে তিন তালাক জামিন অযোগ্য অপরাধ হলেও অভিযুক্তকে জামিনের আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। স্ত্রীকে ক্ষতিপূরণ দিতে রাজি হলে তবেই ম্যাজিস্ট্রেট মনে করলে স্বামী জামিন পাবেন। নতুন আইনে আত্মীয় ছাড়া পাড়া-প্রতিবেশী অভিযোগ দায়ের করতে পারবে না। নির্যাতিত মহিলা আদালতে নিজের সন্তানের অধিকার দাবি করতে পারবেন। এবং স্ত্রীর কথা শোনার পর তবেই স্বামীর জামিন নিয়ে ম্যাজিস্ট্রেট সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
তবে বিরোধীদের বক্তব্য, এই বিল মুসলমান মহিলাদের অধিকার রক্ষা করবে না। বদলে মুসলমান পুরুষদের বিপদে ফেলবে। রাজনৈতিক স্বার্থে মুসলমান মহিলাদের সমব্যথী হয়ে সরকার বিল পাশ করাতে চাইছে বলেও বিরোধীরা এদিন অভিযোগ করেছেন।